বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে চট্টগ্রামে দেশের প্রথম বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের এই সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে কারখানা চালু রাখার নতুন পথ দেখিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লাভস তৈরির বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মাইডাস সেফটি বাংলাদেশ লিমিটেড। এই কারখানায় স্থাপন করা হয়েছে বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম উইন্ড টারবাইন বা বায়ুকল। গত শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে এই বায়ুকল চালু করা হয়েছে। বায়ুকল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আনুষ্ঠানিকভাবে কারখানায় সরবরাহ করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন- দেশে চলমান বিদ্যুৎ সঙ্কটের মধ্যেও কারখানা পুরোদমে চালু রাখতে সোলার প্যানেলের পাশাপাশি উইন্ড টারবাইন (বায়ুকল) দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাইডাস কর্তৃপক্ষ। এ জন্য গত মে মাসে চীনের জিয়াংসু নাইয়ার উইন্ড পাওয়ার টেকনোলজি থেকে ৪৫০ কেজি ওজনের একটি বায়ুকল কেনে প্রতিষ্ঠানটি। গত সপ্তাহে এটি কারখানায় এসে পৌঁছায়। এরপর বায়ুকল স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। বায়ুকলটি প্রথমবারের মতো চালু করা হয় গত শুক্রবার।
প্রায় ৭ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা এই বায়ুকলের সক্ষমতা ৩ কিলোওয়াট। বাতাসকে কাজে লাগিয়ে বছরে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বায়ুকল থেকে। ২০ ফুট উচ্চতা ও ৭ ফুট ব্যাসের বায়ুকলে ৫টি পাখা আছে। একেকটি পাখার দৈর্ঘ্য ৩.৬ মিটার। বাতাসে এসব পাখা ঘুরলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এরপর তা উইন্ড পাওয়ার গ্রিড টাইড ইনভার্টারের মাধ্যমে কারখানার গ্রিডে চলে যাবে। এরকম আরো ১০টি বায়ুকল বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে মাইডাস কর্তৃপক্ষের।
মাইডাস সেফটি বাংলাদেশ লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক মইনুল হোসেন বলেন, প্রতি সেকেন্ডে বাতাসের গতি ৪ কিউবিক মিটার থাকলে বায়ুকল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। ইপিজেডে আমাদের কারখানাটির অবস্থান বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী হওয়ায় এখানে প্রতি সেকেন্ডে বাতাসের গতি থাকে গড়ে ৫ কিউবিক মিটার। তাই আমরা বায়ুকল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিই। বায়ুকল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ মাইডাস সেফটি গ্রুপের ৩ নম্বর ইউনিটে সরবরাহ করা হবে।