আজ ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রয়াত সাংসদ আবদুল্লাহ আল নোমানের মানুষের ঢল


অনলাইন ডেস্ক:

স্মরণকালের আরেকটি বড় জানাজার সাক্ষী হলো চট্টগ্রামের মানুষ। এতে অংশ নিতে সকাল থেকে দূর-দূরান্তের মানুষ আসতে থাকেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে। মানুষের সব স্রোত এসে মিশে দামপাড়ায়। কারও হাতে ফুলের তোড়া, বুকে শোকের কালো ব্যাজ।

দেখতে দেখতে মসজিদ কমপ্লেক্স ভরে যায় মুসল্লিতে। মাঠও কানায় কানায় ভরে যায় জুমার নামাজের আগে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো অনেকে জননন্দিত রাজনীতিক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের মুখটি দেখে। কেউবা আবার ভিড় এড়িয়ে দূর থেকে নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জুমার পরে চট্টগ্রামে আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জামায়াতের মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপি উত্তর জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, মাহবুবের রহমান শামীম, মীর মোহাম্মদ হেলাল, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, আবুল হাশেম বক্কর, মরহুমের ছেলে সাঈদ আল নোমান, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, আনজুমানে রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়ার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান। নোমান ভাই পরিপূর্ণ রাজনীতিবিদ। তিনি সামাজিক আন্দোলন করেছেন। তিনি বিনয়ী ভদ্র মানুষ। মনে প্রাণে রাজনীতিবিদ ছিলেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ছিল। নোমান ভাই গণমানুষের নেতা ছিলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান গণমানুষের নেতা ছিলেন। চট্টলার জন্য তিনি অনেক কিছু গড়ে গেছেন।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা একসঙ্গে এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম। তিনি সাধারণ মানুষের রাজনীতি করেছেন।

সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার গহিরা হাই স্কুল মাঠে শেষ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর