প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৫ ও ১৪২৬ প্রদান করেছেন। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ১০টি ক্যাটাগরিতে ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কৃষি খাতে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ এই পদক প্রদান করেন।
আজ সকালে ওসামানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে শারমিন আক্তার বিজয়ীদের পক্ষে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও এর কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ, সমবায়, উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বাণিজ্যিক চাষ, বনায়ন, গবাদি পশু পালন এবং মাছ চাষে অবদানের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ বিতরণ করেন। বাংলা ১৪২৫ সালের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং বাংলা ১৪২৬ সালের জন্য ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
নির্বাচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটি স্বর্ণপদক, পঁচিশটি ব্রোঞ্জ পদক এবং ষোলটি রৌপ্য পদক বিতরণ করা হয়। স্বর্ণপদক বিজয়ীদের প্রত্যেকে ২৫ গ্রাম ওজনের ১৮-ক্যারেট স্বর্ণের পদক সহ এক লাখ টাকা এবং প্রতিটি রৌপ্য পদক বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং ২৫ গ্রাম খাঁটি রৌপ্য পদক এবং ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী পদক সহ ২৫ হাজার টাকা পেয়েছেন।
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর পরবর্তী সরকারগুলো এ পুরস্কার বাতিল করে। কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তিত পুরস্কারটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তাহবিল আইন-২০০৯’ গঠন করে। এই সেক্টরের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়েছে।