এইচ.এম শহীদ, পেকুয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের পেকুয়া টইটং ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ড হিরাবুনিয়া এলাকার হাসান আলীর পুত্র আবুল কালামের দায়ের করা মামলায় আবু কালামের স্ত্রীর ভাই মাহমুদ করিম(শ্যালক) ও স্ত্রী পারভিন আক্তার কারাগারে। পারভিন আক্তারের মা বলেন-পেকুয়া বারবাকিয়া ইউপির ০৭ নং ওয়ার্ড কুতুব পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র মাহমুদুল করিম দেশ ও বিদেশে থাকা অবস্থায় পারভীন আক্তার ও মাহমুদুল করিমের সংসার সুন্দরভাবে চলছিল এবং তাদের ০৩ সন্তান রয়েছে ।
সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে এসে আরেকটি বিয়ে করে নতুন সংসার জীবন শুরু করেন। আমার মেয়ে পারভীন আক্তার জানতে পারলে আমার মেয়েকে মারধর সহ বিভিন্ন নির্যাতন করে আসছে এমন কি আমার মেয়েকে তালাক নামায় স্বাক্ষর করার জন্য জোর করেন কিন্তু আমার মেয়ে পারভীন আক্তার তালাক নামায় স্বাক্ষর না করলে স্বামী মাহমুদুল করিম বাসায় গিয়ে আমার ছোট মেয়ে ও পারভিন আক্তার কে নির্যাতন এবং মারধর করে স্বর্ন,মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অনেকদিন যাবত কোন উপায় না পেয়ে মাহমুদুল করিমের বোন কে মারধর করার বিষয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর পারভিন আক্তারের স্বামী মাহমুদুল করিমের দুলাভাই আবুল কালামের দায়ী করা মামলায় শ্যালকের স্ত্রী পারভিন আক্তার কে পেকুয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। তিন সন্তানের জননী পারভিন আক্তারের মা আরো জানান, পারভিন আক্তার কারাগারে যাওয়ার দিন রাতে মাহমুদুল করিম ও তার দুলাভাই আবুল কালাম সহ ২/৪জন লোক জন মিলে আমার মেয়ের বাড়িতে হামলা করে ঘরবাড়ি ভেঙে দেন এবং ঘরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র রাতের আঁধারে লুটপাট করে নিয়ে যায়।
পারভিন আক্তারের বড় মেয়ে জানান, তার পিতা মাহমুদুল করিম আর একটি বিয়ে করায় তার মাকে বিভিন্ন নির্যাতন করে কোন সুরাহা না পেয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তার মাকে কারাগারে পাঠান। বড় মেয়ে আরো বলেন, ঘরে থাকা জিনিস পত্র জোরপূর্বক লুটপাট করে নিয়ে যায় তাঁর পিতা মাহমুদুল করিম ও আবু কালাম সহ ৩-৪ জন লোক । তাদের মাকে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
পারভিন আক্তারের মা বলেন- গত ১৩ ডিসেম্বর টইটং হাজী বাজার স্টেশনে কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি, এটা আবুল কালামের সাজানো নাটক। এখন ছোট ছোট তিন নাতিকে নিয়ে বিপদে আছি । তারা সবসময় মাকে কাছে পেতে ছটপট করছে এবং কান্না কাটি করছে এই মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার সহ পারভিন আক্তারের মুক্তি চাই এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply