এইচএম শহিদ, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাদ্রাসা ও জামে মসজিদের জায়গা এক কেয়ারটেকারের জবর দখলে জিম্মি হয়েপড়েছে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়- পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর মাতাব্বর পাড়ার আমেরিকা প্রবাসী হাজী জামাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠিত জামিলা খাতুন জামে মসজিদ ও হেফজখানার জন্য জমি ২০০৮ সালে ক্রয় করে গত ৫/৬ বছর পূর্বে একই এলাকার মৃত ইসমাইলের পুত্র জালাল উদ্দিনের কাছে নন জুডিসিয়াল স্টাম্প মূলে দেখাশুনো ও রক্ষণাবক্ষেণের জন্য একটি চুক্তি সম্পাদন করে কেয়ারটেকার নিযুক্ত করে জালালকে থাকার জন্য একটি ঘরও নির্মাণ করে দেন।
জমি দাতা আমেরিকা প্রবাসী হাজী জামাল উদ্দিন আমেরিকায় চলে যান । ফের মসজিদের জমিদাতা দেশে ফিরে মাদ্রাসা ও মসজিদের উন্নয়নে কার্যক্রম শুরু করলে মাদ্রাসা ও মসজিদের স্থায়ীভাবে ব্যায় নির্বাহের জন্য দোকান ঘর নির্মান করতে চাইলে কেয়ারটেকার জালাল সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবর দখলে নিতে তার বসতঘরের বাইরের এজায়গায় মসজিদ ও হেফজখানার স্থাপনা নির্মানে বাধা প্রদান করতে এসে হামলা করেন।
মসজিদের জমি দাতা বলেন, এবিষয়ে সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের বিচার দিলে মানবিক কারনে বসতঘরের জায়গাটি জালালকে ছেড়ে দিতে ও বাকী জায়গায় মসজিদ মাদরাসা আয়ের জন্য স্থাপনা নির্মাণের পরামর্শ দেন। কিন্তু জালাল প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে জমি দাতাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে।
প্রবাসী জামাল উদ্দিন বলেন, মসজিদ হেফজখানা ও মাদরাসা করার জন্য জায়গা কিনে তার স্ত্রীর মামাতো ভাই জালালকে একটি ঘর তৈরী করে দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেয়ারটেকার নিযুক্ত করে বিদেশ থেকে ফিরে এসে মসজিদ কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করলে জায়গাটি ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার নামা নিয়েছিলাম। কিন্তু জালাল বসতঘরের জায়গাটি ছাড়াও বাড়তি জায়গায় কমপ্লেক্সের স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়ায় হতবাক হয়েগেলাম। তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন,জালালের একটি মেয়ে এখনো তার চট্টগ্রামের বাসায় রেখে নিজ খরচে পড়া লেখা করাচ্ছি সে সহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে বিষয়টি প্রশাসন জেনে প্রতারক জালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে আহবান জানান।
এলাকাবাসী নুরুল হোছাইন, মনজুর আলম, সৈয়দনুর বলেন,- হাজি জামাল উদ্দিন মসজিদের জন্য অনেক বছর পূর্বে থেকে জায়গাটি নিয়েছেন রক্ষণাবক্ষেণের জন্য জালালকে দেওয়া হয় সম্প্রতি মসজিদের জায়গা ফেরতৎ দিতে অস্বীকার করলে স্থানীয় সমাজের সাথে বসে একটি সুরাহা হয় যে কেয়ারটেকার জালাল অনেক বছর দেখাশুনা করছেন তাই তার তৈরী করা বাড়ির জায়গা তার কাছে থাকবে রাস্তার পাশের জায়গা মাদ্রাসা ও মসজিদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু কেয়ারটেকার লোভে পড়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মসজিদের জায়গা ছেড়ে না দিয়ে বরং এলাকাবাসী সহ জমির দাতা কে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি সহ মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
জালালের মেয়ে কলেজ ছাত্রী সাদিয়া সোলতানা জেমি বলেন, যে জায়গাটি তার বাবা জালাল দখল করতে চাচ্ছেন এটি তার ফুফা জামাল মসজিদের জন্য কিনেছিলেন। তাদের বসতঘরের জায়গারও কোন টাকা তার বাবা পরিশোধ করেননি উল্লেখ করে বলেন, ফুফু স্বপরিবারে আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় মসজিদ কমপ্লেক্সের জায়গা রক্ষণাবেক্ষনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল মাত্র।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র দেখেছি কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।