এইচ, এম শহীদ, পেকুয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলায় বিশিষ্ঠ ইসলামীক স্কলার আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ড.মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারীর তাফসীরুল কোরান মাহফিলের সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের হল রুমে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইনুল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা থেকে পেকুয়া বৃহত্তর সাবেক গুলদী তাফসীর ময়দানে মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে তাফসীরুল কোরান মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান মোফাসসীর হিসেবে তাফসীর পেশ করবেন মাওলানা ড.মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী, তিনি দীর্ঘ ৫ বছর পর বাংলাদেশে প্রথম কোন মাহফিলে আলোচনা করার সম্মতি প্রকাশ করায় ব্যাপক লোক সমাগমের বিষয়টি সামনে রেখে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের পর্যবেক্ষণ চোখে পড়ার মত। এদিকে মাহফিল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সর্বশেষ আইনশৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রয়োজনীয় গৃহীত প্রস্তুতি উপস্থাপন করেন মাওলানা শহীদুল্লাহ স্মৃতি সংসদের পরিচালক নিয়ামত উল্লাহ নিজামী।
এসময় দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন পেকুয়া সেনা ক্যাম্পের প্রধান মেজর আসিফ, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল মোস্তফা, পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. ইকবাল হোছাইন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ডা,নুরুল কবির, মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি শওকত ইসলাম বাহাদুর, সহ সভাপতি ও পেকুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. আবদুল্লাহ আনসারী, মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এফএম সুমন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার ডিফেন্স প্রতিনিধি রেডক্রিসেন্ট প্রতিনিধি মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব শীলরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত সমুহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ১২০ জনের প্রশাসনিক ফোর্স, ছাড়াও ৩শ জনের সেচ্ছাসেবী থাকবেন। হেলিপ্যাড নিরাপত্তাটীম,মিডিয়া সেল, মেডিকেল এন্ড ব্লাড ডোনার স্টল, মনিটরিং সেল, সেনা ও পুলিশ থাকবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে পৃথক ওয়াচিং টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। পার্কিং রাখা হয়েছে বারবাকিয়া রাস্তার মাথায়, পেকুয়া মডেল কেজির উত্তর পাশে, বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ এতিনটি স্থানে ৮ হাজার গাড়ীর পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য আনার গ্রাম পুলিশ থাকবে। সর্বোপরি পুলিশ সেনা সদস্য সহ গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের টীম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা মনিটরিং এ থাকবে বলে জানান। রাত৯টার দিকে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে দায়িত্ব বন্টনের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় এমাহফিলে ৭থেকে ১০ লাখ লোকজন সমাগমের সম্ভাবনায় প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।