রিয়াজ উদ্দিন:
কক্সবাজার সদর উপজেলার পি এম খালী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ১৫৪টি ঘরের মধ্যে অনেক ঘরে তালা ঝুলছে। অনেকেই বরাদ্দকৃত ঘরে না থেকে নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করছেন, যার অভিযোগের শেষ নেই। ইতিমধ্যে কেউ কেউ ঘর ভাড়াও দিয়েছেন। প্রকৃত ভূমিহীন বাছাই করতে না পারা, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি এবং সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মত অনেকের।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টায় এই প্রেক্ষাপট পরিদর্শন করেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী। তিনি প্রতিটি ঘর পরিদর্শন করে কার কি সমস্যার কথা উপলব্ধি করেন। এ সময় তাহেরা বেগম নামের এক মহিলার ঘরে ০৩(তিন) জন রোহিঙ্গাকে পাওয়া যায়। পরে তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করা হলে ঘরটি তারা ভাড়া নিয়েছে বলে জানায়। পরবতীর্তে ইউএনও তিন রোহিঙ্গাকে পি.এম.খালী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী জানান, যেসব ঘরে তালা ঝুলছে এবং ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর বরাদ্দ বাতিল করে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এসব ঘর শনাক্ত ও নতুনভাবে বরাদ্দের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর শনাক্ত করার জন্য ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সিকদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তিনি এ সপ্তাহের মধ্যে আমাকে রিপোর্ট পেশ করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী, উপজেলা প্রকৌশলী, ইউপি সদস্য আরিফ উল্লাহ ও মিজানুর রহমান সিকদার, ইউপি সচিব শিহাব উদ্দিন, পি এম খালী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ, উপকারভোগী পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় জনসাধারণ।