নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারের সাব ইজারাদার শাহজাহান আজাদ থেকে পাওনা টাকা দাবি করায় উল্টো থানায় অভিযোগ করার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় পাওনাদার আসল ইজারাদার রমজান কোম্পানী চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ ও এমপি কমলের পিএস মিজানকে ব্যবহার করে ইজারাদার রমজান কোম্পানী থেকে সাব ইজারা নেন ইসলবাদ ইউনিয়নের ইউচুপেরখীল গ্রামের বাসিন্দা বাসস্ট্যান্ডের আরফাত কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী শাহজাহান আজাদ ।
দীর্ঘ প্রায় এক বছর মূল ইজারাদার রমজান কোম্পানির কাছে সাব ইজারা বাবত টাকা পরিশোধ করে আসলেও হঠাৎ বাকি পাওনা টাকা পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করে। বারবার তাগিদ দিলেও বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো মূল ইজারাদার রমজান কোম্পানি তার কাছ থেকে ৩০ লাখ প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনায বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম প্রচার হয়।
শাহজাহানের অভিযোগ ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, মূল ইজারাদার রমজান কোম্পানি সাব ইজারাদার শাহজাহানকে সাব ইজারা দেওয়ার বাজারের লোড আনলোডের আলাদা খাত উল্লেখ করে শাহ্ জাহান থেকে ৩০ লাখ টাকা নেন। পরবর্তীতে শাহ জাহান জানতে পারেন, লোড আনলোড খাত অবৈধ। তার অভিযোগে এসব বিষয় উল্লেখ করলেও শাহ্ জাহান ও রমজান কোম্পানির কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে, সেখানে রমজান কোম্পানি শাহজাহানকে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, সরকার আমাকে বৈধ যে ইজারা দিয়েছে, আমিও আপনাকে সে ইজারা হস্তান্তর করছি। এর বাইরে কিছু সাব ইজারা দেওয়ার সুযোগ আমার নেই।
এদিকে সরকারি প্রজ্ঞাপনেও লোড আনলোড সংক্রান্ত কোন খাত স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই।
অপরদিকে সাব ইজারাদার শাহজাহান লোড আনলোড খাত অবৈধ উল্লেখ করলেও বাসস্টেশন সহ পুরো ঈদগাঁও বাজারের তার স্বীকৃত অবৈধ খাত থেকে দৈনন্দিন হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করে আসছে, যা অদ্যাবধি চলমান। একটি অডিও রেকর্ডে শাহজাহানকে এটাও বলতে শোনা যায় যে, জুলাই বিপ্লবের কয়েকদিন ব্যতীত পুরো বছর জুড়ে সে লোড আনলোড থেকে ইজারা আদায় করছে।
অভিযোগ ও নিউজের বিষয়ে রমজান কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাব ইজারাদার শাহজাহান থেকে আমি এখনও সাড়ে ছয় লাখ টাকা পাওনা রয়েছি। এ টাকা পরিশোধ করতে তাগিদ দেওয়ায় সে ছলচাতুরির আশ্রয় হিসেবে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এবং প্রশাসনকে মিসগাইড করতেই এভাবে অনলাইন ও ফেইসবুকে মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সে ব্যবসা করছে, ব্যবসায়ী হিসেবে লাভ ক্ষতি তাকে বহন করতে হবে। সে গরু বাজার বাদে বাকি বাজারের সাব ইজারা নিয়েছে। ওখানে তার কি হচ্ছে, না হচ্ছে, সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। বরং পাওনা টাকা দাবি করায় উল্টো আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তার অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখুক, ঘটনার বাস্তবতা ও সত্যতা কি। আমি তার অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত করার জন্য এবং পাওনা সাড়ে ছয় লাখ টাকা আদায়ে ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী শাহজাহানের মোবাইলে বার বার রিং দিয়ে ও মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ীরা প্রতারক শাহজাহান আজাদ কে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।