ফারুকুর রহমান বিনজু,পটিয়া
রবিবার ২০শে অক্টোবর ঘড়ির কাঁটা তখন ভোর ৫টায় ছুঁই ছুঁই। ঘড়ির এর্লামের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে পরিবারের সবাই হুড়মুড় করে উঠে পড়ি।কারণ পটিয়া প্রেসক্লাবের ৪যুগপূর্তী অনুস্টান অনুস্টিত হবে কক্সবাজার সাগর বাড়ি হোটেলের গ্র্যান্ডফ্লোরে। রেলের রির্জাভেশন রেকে সকল সদস্য সপরিবারে যাবে। সুজিত দাদা,আমি, আমার পরিবার ৭টা৩০মি: পটিয়া রেলস্টেশনে পৌঁছে যায়।
এরপর পিপলুভাই, রাজ্জাকভাই, জাহাঙ্গীরভাই, নুরহোসেনভাই,রানাভাই,আজমভাই,আবেদভাই,কমরুভাই,ছোটনভাই,নোমানভাই,সেলিমভাই,কাওসারভাই তাদের স্ব,স্ব পরিবার নিয়ে স্টেশনে হাজির।আসিফ ভাই,জুয়েলভাই চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে উঠেন। আহমদভাই,শাহজাহানভাই,তাপসভাই,গতকাল চলে যায়।
উপস্হিত সকল সদস্য ফটো সেশনে যোগ দেন।জাহাঙ্গীরভাইয়ের মোনাজাত পরিচালনার পর সকলেই ট্রেনে উটে পড়ি।সকাল ৮টায় ট্রেন ছেড়ে দেয়। এদিকে ভূলে নাস্তার পেকেট ট্রেনে তোলা হয়নি।শিকল টেনে ট্রেন থামিয়ে আমি,পিপলু,নোমান নাস্তার পেকেট ট্রেনে তুললাম। ৮টা৩০মি:সকলে ট্রেনে সকালের নাস্তার পর্ব শেষ করলাম। দোহাজারী রেলস্টেশন হতে সপরিবারে রহমানভাই ট্রেনে উঠেন। ঝিক ঝিক এক মনোরম শব্দ তোলে আকঁবাকা রাস্তা দিয়ে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে ছুটে চলছে ট্রেন।এই ফাঁকে রাজ্জাক ও জুয়েল ভাই সকলের কাছ থেকে মিনি সাক্ষাৎ সেড়ে ফেলেন। আনন্দের অনুভূতি জানাতে গিয়ে রাজ্জাকভাইকে শিরিন জাহান মুন্নি বলেন,সত্যি খুব আনন্দ লাগছে,যা অনুভূতি প্রকাশ করার মত ভাষা আমার নাই। রাজ্জাক ভাইয়ের ছেলে সিয়ামদক্ষ ফটোসাংবাদিকের ভুমিকায় ভিডিও ধারন করেন।এরপর ট্রেনে শুরু হল বহুল আলোচিত কমেডি নাটিকা"ওমানে চাকুরী"।অভিনয়ে নুরহোসেন,সুজিত, বিনজু, সেলিম। ১১টায় পৌঁছে যায় কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে। ১১টা৩০মি: সমুদ্র বাড়ি হোটেল রুমে। ২টায় লাঞ্চ,বিশ্রাম সেড়ে বৈকালিক সমুদ্র দর্শন ও সূর্যস্হ দৃশ্য দেখে হোটেলে ফিরলাম। রাত ৭টায় শুরু হল হোটেলের গ্র্যান্ড ফ্লোরে নির্মিত মন্চে পারিবারিক মিলন মালার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সংগীত শিল্পী সাগর দত্ত,এ্যনি বড়ুয়া, জুলির মনমাতানো গানে সকলে অভিভূত। আবেদ ভাইয়ের মেয়ে ইমিন,আমার মেয়ে উসমিতা রহমান সিজার মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশনে সকলের হাততালির বন্যার পর পর নুরহোসেন ভাইয়ের রোবট ড্যান্স।এরপর শুরু হল যাদুকর কামাল ভাইয়ের রোমাঞ্চকর যাদু প্রর্দশন।
এই সময়ে নতুন বউ নিয়ে হাজির হন কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক মফিজ উদ্দিন বাবলু।সবশেষে আবদুল হাকিম রানার পরিচালনায় পটিয়া প্রেসক্লাবের চার যুগর্পূতির কেক কাটার উৎসব। এস এম এ কে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সভাপতিত্বে, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহা সচিব আসিফ সিরাজ প্রধান অতিথির আসন গ্রহনে কেক কেটে রাত ১টায় প্রথম দিনের অনুষ্টান শেষ হয়।২য় দিনের সকাল ১০টায় রানা ভাইয়ের ফোন পেয়ে ঘুম ভেঙে যায়। সকালের নাশতা সেরে সুজিত দা,আমি ওআমার পরিবার সমুদ্র দর্শন ও কেনাকাটার জন্য মার্কেটে যায়।দুপুর ২টায় লাঞ্চ সেরে শুরু হয় আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে আড্ডা।অতিথিদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন হায়দার,কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি দৈনিক আজকের প্রত্রিকার মোঃসাহেদ ও মাছরাঙা টিভির সুনিল বড়ুয়া।যবনিকা র মূহুর্তে অতিথি নাছির উদ্দীন হায়দার ভাইয়ের একটি পুরনো আঞ্চলিক গান গেয়ে শুনান---ন যাই ও,ন যাই ও,আরে ফেলাই ন যাই ও।