নুরুল আবছার চৌধুরী,উত্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি >>> পছন্দের লোককে নিয়োগ দিতে স্কুলের শিক্ষককে নির্যাতন করে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করায় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে দুই বছর পর অভিযোগ করলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর।এই ঘটনায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসানের কাছে অভিযোগ করেছেন।ঘটনার বিষয়ে তিনি আদালতে মামলা করবে জানিয়ে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবে এসে লিখিতভাবে সাংবাদিকদের জানান। ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন বলেন,হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ড. শহীদুল্লাহ একাডেমি’র প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে জানিয়ে বলেন, ২০১৫ সাল থেকে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে উত্তর রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন তালুকদার তৎকালীন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ তালুকদার তার পছন্দের লোক।২০২১ সালের ২ জানুয়ারি জসীম উদ্দিন তালুকদার ও হারুন অর রশিদ তালুকদার এর নির্দেশে সন্ত্রাসী আবদুল্লাহ আল মামুন, গিয়াস উদ্দিন শওকত, খোরশেদ আলম আলমগীর হোসেনকে স্কুলের একটি কক্ষে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নেয়।তারা হারুন অর রশিদ তালুকদারসহ জসিম উদ্দিন তালুকদার কয়েকবার বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়।সন্ত্রাসী লেলিয়ে দেয়া ও প্রশাসনিক কাজে বাধা দিয়েছেন।পরের ঘটনা ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় একটি কক্ষে দরজা-জানালা বন্ধ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে গিয়াস উদ্দিন শওকত, আবদুল্লাহ আল মামুন,খোরশেদ আলম,মীর গোলাম মোস্তফা বাবুল দ্বিতীয় বার অব্যাহতি পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। দুইবারের ঘটনাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়।কিন্তু দুঃখের বিষয় রাঙ্গুনিয়া থানা কোনো জিডি, মামলা এমনকি অভিযোগের কোনো রিসিভিং কপিও দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।তিনি আরো বলেন,জসিম উদ্দিন তালুকদার,সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে।বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বেতনে সত্তরোর্ধ বয়সের তাহার আত্মীয় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দিয়েছেন,যিনি এখনো বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন।তিনি ওই সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের বিচার চান।এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, ” ঘটনার তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।” এই ঘটনা অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন তালুকদারসহ অভিযুক্তের মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।ছবি: ভুক্তভোগি প্রধান শিক্ষক পিক
Leave a Reply