আজ ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস


অনলাইন ডেস্ক: নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম।

এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন। আর চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে থাকায় তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন।

অপরদিকে আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

২০২৩ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার চার্জগঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। একই বছর ৩০ আগস্ট বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেন। এরপর ওই বছর ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশের দুই সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।

এরপর চলতি বছর ২৯ জানুয়ারি এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

দুদকের করা অপর দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। সেখান থেকে পরে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান।

এরপর গত ৭ জানুয়ারি তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর