নুরুল আবছার চৌধুরী নিজস্ব প্রতিবেদক,চট্রগ্রাম উত্তর >>> আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন।এবং জানাবেন বিএনপি হাল ধরতে যাচ্ছেন।তারা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।সামনের নির্বাচনে কোন ছাড় দেয়া হবে না। গত ১৬ বছরে অনেক পাতানো নির্বাচন দেখেছেন।এই ২০২৫ থেকে শুরু,আর কোন পাতানো নির্বাচন বাংলাদেশ দেখবে না৷
রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রচারে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুমাম কাদের চৌধুরী। গত
শনিবার বিকালে উপজেলার উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে হুমাম কাদের চৌধুরী আরও বলেন, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী খুনি লীগ গত ১৭ বছরে একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছিল।সীমাহীন লুটপাট দুর্ণীতির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা,স্বাস্থ্যখাত,বিচার বিভাগসহ প্রতিটি সেক্টর ধ্বংসের করে দেশকে তলাবিহীন জুড়িতে পরিনত করেছে।এ থেকে জাতিকে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াতে হলে তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিটি আসনে আমাদের প্রার্থী থাকবে৷ আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ করবো,আজকে রাঙ্গুনিয়ায় এসেছি,আপনাদের কাছে কিছু না কিছু চেয়ে যাবো।আমার বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সবসময় বলতো,এই রাঙ্গুনিয়ার মানুষের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।অনেক ভালবাসা পেয়েছি,অনেক সম্মান পেয়েছি।
তিনি বলেন, আজকে আপনাদের কাছ থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হিসেবে একটা জিনিস চাইবো, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যে যেনো আর কোন গ্রুপিং না হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি পরিবার। পরিবারের সবাই যখন একসাথে থাকে, ততক্ষণ তারা মজবুত থাকে৷ আপনারা সকলেই একসাথে থাকবেন। তাহলেই রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্যকে সাংসদ হিসেবে পাবো৷সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,বার বার করে একটা প্রশ্ন সাংবাদিকরা আমাকে করেন, বলেন চৌধুরী সাহেব ইলেকশন করবেন কোথা থেকে৷ রাউজান,রাঙ্গুনিয়া নাকি ফটিকছড়ি।আমার একটাই জবাব থাকে,আমি রাঙ্গুনিয়া থেকেই লড়তে চাই৷ এ্যাড. কামাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও মাকসুদুল হক চৌধুরী,ফারুকুল ইসলাম, হেলাল আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শওকত আলী নুর।প্রধান বক্তা ছিলেন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক মহসিন।বিশেষ অতিথি ছিলেন,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সি সহ-সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী।উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইলিয়াস সিকদার,পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম,হেলাল উদ্দীন শাহ্, মসিউদ্দৌলা,একতিয়ার হোসেন,কেন্দ্রীয় জিয়া মঞ্চের সহ-সভাপতি ওয়াকিল আহমদ, সৈয়দ ফজলুল হক মিনা,সাবেক মেয়র নুরুল আমিন,জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সি. সহ-সভাপতি আনসুর উদ্দীন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আশফাকুল হক হারুন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবু বক্কর প্রমূখ।এদিকে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির এই সমাবেশ কে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে এক আনন্দময় উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জনসমাবেশে এসে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে।