খুলনা সংবাদদাতা :
নগরীতে অবৈধ জুয়া, র্যাফেল ড্র এর বিরুদ্ধে কেএমপি অভিযানে- ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আজ দিনভর নগরীতে অবৈধ জুয়া, র্যাফেল ড্র এর নামে টিকিট বিক্রি করার সময় বিভিন্ন ঘটনায় বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের নিকট থেকে ৭ টি ইজিবাইক, ৭ সেট মাইক, ৮ টিনের ছোট ড্রাম বিভিন্ন রংয়ের ১২ বান্ডেল ও খোলা ২৫৫৭ টি টিকিট এবং টিকিট বিক্রির নগদ ১৭১৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাদের সকলের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ভাবে কেএমপি অধ্যাদেশ ৯৫ ধারা মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। প্রসঙ্গত নগরীতে মিনি বানিজ্য মেলার নামে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে নগরীর গিলাতলা বালুর মাঠে মাসব্যাপি মিনি বানিজ্য মেলা নামানো হলেও মেলার অন্তরালে জুয়ার লটারির টিকিট বিক্রি ও চর খেলা চলছে। খানজাহানআলী থানাকে দৈনিক ভিত্তিতে মোটা অংকের টাকা মাসোয়ারা দিয়ে মেলার মধ্যে চলে রমরমা জুয়ার ব্যবসা।এ ব্যাপারে খানজাহানআলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কবির হোসেনকে ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে ফোন দিলে টাকা মাসোয়ারা নেওয়ার অভিযোগ অসীকার করে বলেন, মেলার মাঠে জুয়া হচ্ছে কিনা আমি জানি না।কেউ আমাকে অভিযোগ দেয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ২৯ ডিসেম্বর রাতে নগরীর দৌলতপুর থেকে জুয়ার লটারির টিকিট ও লটারি বিক্রির নগদ টাকা সহ কামরুল হোসেন এরশাদকে আটক করেছিল নগর ডিবি পুলিশ। ওই সময় সে দেয়ানা ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করেন।খোজ নিয়ে জানা যায় এই নামে ওয়ার্ড যুবদলে কোন সভাপতি নাই।ওই দিন জুয়ার লটারি সহ আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে তদবির করা হয়।সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।এদিকে মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে চুরি ও ছিনতাই বেড়েছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র মতে, খানজাহানআলী থানার ওসি মো : কবির হোসেন কে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা মাসোয়ারা দিয়ে ঔই বানিজ্য মেলার অন্তরালে চলছে জুয়ার লটারির টিকিট বিক্রি ও চরক খেলা। সুত্র গুলো কারন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, থানা ওসিকে টাকা না,দিয়ে এসব অবৈধ জুয়ার ব্যাবসা পরিচালনা করা সম্ভব না। প্রতিদিন খুলনা মহানগরীর ও বিভিন্ন উপজেলায় ২ শত এর বেশি ইজিবাইক, অসংখ্য পিকআপ ও মোটরসাইকেল করে টিকিট বিক্রি করছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার খানজাহানআলী থানার ওসি নিজেই খোস মেজাজে মেলার আয়োজক সেলিম খান এর সাথে মেলার মাঠ ও মেলার জুয়া খেলার স্থান ঘুরে দেখেন তার পরিবার নিয়ে।বিষয়টিকে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তিব্র খোভের সৃষ্টি হয়েছে। মেলার আয়োজক সেলিম ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের একান্ত সহযোগী।
গত কয়েকদিন খানজাহানআলী থানার মিরেরডাঙা, শিরোমনি,বাইপাস,গিলাতলা, বাদামতলা,যোগীপোল,নদীর ওপার সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে চুরি সংগঠিত হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য খুলনার উপ- পুলিশ কমিশনার ( ডিসি নর্থ) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমানকে মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। খানজাহানআলী থানার ওসি ওসি কবির হোসেনকে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। এদিকে দৈনিক সাদিকা র্যাফেল ড্র নামে মাসব্যাপি মিনি বানিজ্য ও আনন্দ মেলা গিলাতলা বালুর মাঠে আয়োজন করা হয়। এ ঘটনার পর মেলা এখনো রমরমা গতিতে চলছে।মেলা বন্ধের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি এধরণের মেলায় র্যাফেল ড্র এর নামে দৈনিক মাসোয়ারা দিয়ে গোপনে জুয়ার রমরমা আসর বন্ধের জন্য যৌথ বাহিনী, র্যাব সহ পুলিশের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply