মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ৫২জন রোগী ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশ হলো শিশু রোগী, যাদের বয়স ৫ বছরের নিচে।
হাসপাতালে এ্যান্টিবায়েটিক ও খাবার স্যালাইনের সংকট না থাকলেও সরবরাহ নেই ডিএনএস স্যালাইন। এছাড়া শিশু রোগীদের জন্য আই.ভি স্যালাইন থাকলেও প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য এ স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে সংকট তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে সচেতন মহলের অভিমত।
এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের শয্যা খালি না থাকায় নতুন ভর্তি রোগীদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে আচমকা গরমের জন্য ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। এছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে পানিবাহিত জীবাণুর সংক্রমনের ফলে ডায়রিয়া রোগ হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।
দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম বলেন, "এবারের ডায়রিয়া পানিবাহিত ভাইরাস জনিত কারনেই বেশী হচ্ছে। তাই সেরে উঠতে ৩ থেকে ৫ দিন লাগছে। স্যালাইনের সাপোর্টই বেশী জরুরী। তবে দোহাজারী হাসপাতাল থেকে এখনো কোন রোগী রেফার করা লাগেনি বা মারা যায়নি। ডায়রিয়া আক্রান্তদের দ্বারা বাকী রোগীরা যাতে আক্রান্ত না হয় সেজন্য ডায়রিয়া রোগীদের আলাদা করে ডায়রিয়া ব্লক করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. রুমা চক্রবর্তীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চন্দনাইশ হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী তেমন বৃদ্ধি পায়নি তবে দোহাজারী হাসপাতালে তুলনামূলক ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। স্যালাইনের কোন সংকট নেই। চাহিদাপত্র দিলে সেই অনুযায়ী পর্যাপ্ত স্যালাইন সরবরাহ করা হবে।