মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
দুর্নীতিবাজ শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমানকে অপসারণ সহ বিজেএমসি পাট মন্ত্রনালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচার ও লিজ প্রথা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১০ নভেম্বর বিকাল ৫ টায় খালিশপুর ( মারোয়ারী) জুট মিল গেটে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খালিশপুর, দৌলতপুর যৌথ কারখানা কমিটির উদ্যোগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন। তিনি বলেন, খালিশপুর, দৌলতপুর জুট মিল সহ ২৬ টি পাটকলের জাতীয় মজুরি স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সকল বকেয়া পাওনা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। নোটিশ - পে বাবদ, ২ মাস ৮ সপ্তাহের ব্যাসিক সমান প্রাপ্য মজুরি প্রদান করতে হবে।বোনাসের পরিবর্তে প্রদেয় এগ্রোশিয়া( নিদিষ্ট কর্ম ঘন্টা) উপর ভিত্তি করে করোনা কালীন সময়ে সরকার কতৃক প্রদত্ত সুবিদাধী নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমানকে অপসারণ করতে হবে।বিজেএমসি ও পাট মন্ত্রনালয়ের দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে বিচারের করতে হবে এবং ঘুষখোর শ্রম পরিচালক মিজানকে দুর্নীতির তদন্ত করে গ্রেফতারের দাবী জানান। তিনি আরো বলেন, ডিবি, সিটি এস বি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদের এ দাবি সরকারের কাছে পৌছে দিবেন।অন্তবর্তিকালীন সারকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ পাট উপদেষ্টার দৃষ্টি আর্কষন করে বলেন, আপনারা আসুন দেখুন শ্রমিক কি মানবেতর জীবন যাপন করছে। অবিলম্বে ২৬ টি পাট কলের লিজ প্রথা বাতিল করে রাস্ট্রিয়ভাবে মিল চালানোর ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় পাটকল শ্রমিকরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে খুলনা সহ সারাদেশ অচল করে দিবে। পাট উপদেষ্টার খুলনা সফরে সাংবাদিকরা বন্ধকৃত পাটকল রাস্ট্রিয় ভাবে চালু ও লিজ প্রথা বাতিলের কথা বললে তিনি জানান, সরকার মিল গুলো বেসরকারী খাতে লিজ দেবার চিন্তা ভাবনা করছে যাতে পুরাতন শ্রমিকরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেখানে কাজ করার সুযোগ পায় বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এ খবরে পাটকল শ্রমিকরা আজ খালিশপুর মিল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।বিক্ষোভ মিছিল থেকে শ্লোগান দিতে থাকে ব্যাক্তি মালিকানায় মিল চলবে না,টেন্ডার বাজির আস্তানা জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও,ধোকা বাজির আস্তানা চলবে না চলবে না,মিল বাজির আস্তানা জালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও। পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলে শিল্প নগরী খালিশপুরের জনগন তাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। তারা সরকারকে অবিলম্বে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার জোর দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন, খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক মনির হোসেন, গনসংহতি আন্দোলন খুলনার আহবায়ক মুনির সোহেল চৌধুরী, ছাত্র ফেডারেশনের আলামিন শেখ।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে জে,জে,আই জুট মিল পাটকল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব শামস বিন শ্যামল,স্টার জুট মিলের শ্রমিক নেতা আলফার হোসেন, মোফাজ্জেল হোসেন, মো: জাকির হোসেন, মো: শামিম হোসেন, রায়হান হোসেন, জালাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।