গারাংগিয়ার কামিল মাদ্রাসার ৩ দিনব্যাপী১০৬তম মাহফিলের সমাপনী দিবসে বক্তারা
গারাংগিয়ার কামিল মাদ্রাসার তিনদিনব্যাপী মাহফিল, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) এবং বড় হুজুর (রাহ.) ও ছোট হুজুর (রাহ.) এর ১০৬ তম বার্ষিক ঈছালে সওয়াব মাহফিল ১৮ জানুয়ারি শনিবার মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। মোনাজাত পরিচালনা করেন গারাংগিয়ার পীর সাহেব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ আনওয়ারুল হক ছিদ্দিকী।
মোনাজাত পূর্বে আলোচনায় পীর সাহেব বলেন, তরিকত হলো আল্লাহ ও রাসূলের পথে পরিভ্রমন করা। তরিকতের মুর্শিদ বলতে ঐ ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি এক অচেনা-অজানা পথের রাস্তা দেখিয়ে দেন। সাধারণ শরীয়তের জ্ঞান বিদ্যা সকলেই কম বেশী জানে, বোঝে বা মানে। আর তরিকতের জ্ঞান হলো আল্লাহর সৃষ্টি জগতের এক বিশেষ জ্ঞান। যা সকলে সমভাবে জানে না, বোঝে না বা সকলের উপলদ্ধিতে আসে না। বাদ মগরিব ফাতেহা শরিফ ও মোনাজাত পুর্বে আলোচনায় পীর সাহেব শাহ মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হক মজিদি বলেন বর্তমান সমাজে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক মানুষ বায়াতের কথা শুনামাত্র ঈমান হারানো কিংবা শিরক ভেবে আতংকিত হয়ে পড়েন। বায়াত বা পীর মুরীদি নিয়ে আতংকিত হওয়ার মত কিছুই নেই। অতীতের ছোট-বড় গোনাহ সম্পর্কে অনুতপ্ত হয়ে, অতীতের ভূলের জন্য নিজের নফসকে তিরস্কার করা এবং একজন আল্লাহওয়ালা কামেল ব্যক্তির নিকট গিয়ে ভূল-ক্রুটির জন্য তওবা করাই হলো বায়াত। তিনদিন ব্যাপী মাহফিলের সমাপনী দিবস ১৭ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম।
দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর, সাবেক এম পি শাহজাহান চৌধুরী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দক্ষিণ জেলা সহ- সভাপতি আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া,সাতকানিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. আ.ক.ম. আবদুল কাদের,শায়খুল হাদিস মাওলানা হাফেজ মাওলানা শাহে আলম, ড. মাওলানা এনামুল হক মোজাদ্দেদী, ড. মাওলানা ছাবের আহমদ, শায়খ মাওলানা জামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ছালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ,শাহাজাদা মাওলানা ফানাফিল্লাহ বিন আজাদ,গারাংগিয়া ইসালামিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আজীম,চকরিয়া সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা শফিউল হক জিহাদী। মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আনোয়ারুল আজীম আরিফ, আলহাজ্ব আহমদুল ইসলাম চৌধুরী, আলহাজ্ব আব্দুস শুক্কুর, আলহাজ্ব মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন প্রমুখ।
Leave a Reply