কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক দুই অভিযানে হ্নীলা ও ঝিমংখালী বিওপি’র অভিযানে দেশীয় তৈরী এলজি,তাজা গুলি,ইয়াবা উদ্ধার এবং তিন রোহিঙ্গা'কে আটক করেছে। ৪ নভেম্বর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)'র অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১২ হতে অনুমান দেড় কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে শ্মশান ঘাট নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে হ্নীলা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেন। অনুমান পৌণে ৪ টারদিকে পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে নাফ নদী পার হয়ে একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে শ্মশান ঘাট এলাকার দিকে আসতে দেখে।
উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা টহলদল তাদের'কে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল তাদেরকে ঘেরাও করতঃ আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিদের হাতে থাকা একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। *
,মোঃ রফিক মিয়া (৪২),পিতা-সাব্বির আহমেদ, গ্রাম-নাগাপুরা, থানা-মন্ডু ও জেলা-মন্ডু,মোঃ রুহুল আমিন (২৫), পিতা-আব্দুল হাকিম, গ্রাম-নাগাপুরা, থানা-মন্ডু ও জেলা-মন্ডু, মিয়ানমার।
অপরদিকে ৩ নভেম্বর ঝিমংখালী বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বিআরএম-১৬ হতে আনুমানিক ৬শত গজ উত্তর-পশ্চিম দিকে শামছুলের ঘের নামক এলাকায় নিয়মিত টহল পরিচালনা করছিল।অনুমান সাড়ে ৪ টারদিকে টহলদল এক ব্যক্তিকে একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে শামছুলের ঘের এলাকার দিকে আসতে দেখে।সন্দেহজনকভাবে টহলদল তাকে আটক করেন। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার নিকট হতে ১টি দেশীয় তৈরী এলজি,৫ রাউন্ড তাঁজা গুলি এবং ১টি খালী খোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আটককৃত মোঃ আলম( ২৯),পিতা-হাবিবুর রহমান, ১২ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্প, ব্লক-জি/৭, থানা-উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা। আটককৃতদের জব্দকৃত ইয়াবাসহ নিয়মিত মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি সুত্র জানায়।
শ.ম.গফুর, ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক: