টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহরণের শিকার পাঁচ কৃষকের মধ্যে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে।
আজ শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। বাকি দুজনকেও দ্রুত উদ্ধার করা হবে।
জানা গেছে, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনার পাহাড়ি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে তারা অপহরণের শিকার হন। অপহৃত আরও দুজন এখনও নিখোঁজ।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণের শিকার হন মো. শাহজাহান (৩৫), আবু বক্কর (৪০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১২)। তাদের ধান ক্ষেত থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় একটি শসা ক্ষেত থেকে তুলে নেওয়া হয় নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে।
পরে অপহরণকারীরা প্রত্যেকের পরিবারে ফোন দেয়। পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ফোনে। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় সন্ত্রাসীরা কৃষক শাহজাহানকে গুলি করে ও আবু বক্কর-মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ওই কৃষকদের স্বজনেরা দল বেঁধে ঘটনাস্থলের দিকে গেলে আহত তিনজনকে ফেলে রেখে যায়। তবে নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে অস্ত্রের মুখে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তারা নিখোঁজ আছেন। তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি।