মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
জাতীয় ইস্যুতে জনগনের ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রয়োজন।বাংলাদেশে অভুতপুর্ব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে একটি দল দেশকে এলোমেলো করে দিয়েছিল। এখন জাতীয় ইস্যুতে জনগনের ইস্পাত কঠিন ঐক্য প্রয়োজন। তিনি বলেন, এদেশ কারো একার নই, সবার। দেশ এখনো ১৫ বছরের জঞ্জাল মুক্ত হয়নি। তাই সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।মর্যাদাশীল দেশ গড়ার কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
পরনির্ভরশীল নয়, কৃষি শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ গড়া প্রয়োজন।তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের দুটি দেশ প্রমিক সংস্থাকে ধংস করে দেয়। প্রথমে তারা দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী ও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এর পর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে রেখে তিলে তিলে হত্যা করে। কিন্তু তাদের সে অত্যাচার নির্যাতনের জবাব এদেশের শান্তি কামি ছাত্র জনতা জুলাই আগষ্টের গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছে। তিনি আজ ১ ডিসেম্বর সকাল ৮ টায় ইস্টার্ন জুট মিল শ্রমিক ময়দানে খুলনা খানজানআলী থানার জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মি সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এসব কথা বলেন। খান জাহান আলী থানার আমীর সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটোর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াত ইসলামী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম,, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, নড়াইল জেলা আমীর এ্যাড: আতাউর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।
এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান দুটি সমস্যা হচ্ছে মিল ও বিল। একদিকে ২৬ টি রাস্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের বেকার করা হয়েছে, অপরদিকে বিল ডাকাতিয়া সহ বিভিন্ন জলাশয় দখল সুইচ গেট বন্ধ করে হাজার হাজার মানুষকে পানি বন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের দুর্নিতীর কারনে মিল গুলো লোকসানে পরিনত হলেও তার দায় ভার চাপানো হয়েছে শ্রমিকদের ওপর।ডুমুরিয়া - ফুলতলা সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ছিল, ৫ বছরের জন্য আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর আমি সাধ্য অনুযায়ী সন্তাস মুক্ত করেছি। জনগন আবার দায়িত্ব দিলে আমি প্রধান প্রধান সমস্যা গুলো দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করে সমাধানের সর্বাত্তক চেষ্টা করবো।এর আগে সকাল ৭ টায় খুলনা মহানগরীর জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের উদ্যোগে নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সাগত বক্তব্য রাখেন, মহানগরীর সেক্রেটারি এ্যাড: শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগরীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এ্যাড: শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম।