মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
একটি জনগণের নির্বাচিত পার্লামেন্ট ছাড়া সংবিধানের কোন কিছু পরিবর্তন করা যায় না।প্রধান উপদেষ্টা কম কথা বলেন, কিন্তু তার আশপাশের দু একজন যারা আছে তারা বেশি লাফায়।তারা বলে আমরা হাসিনাকে পালায়ছি আর আমরা কি হাসিনার চুলে কলপ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, জনগনের প্রত্যাশিত সরকারকে বুঝতে হবে জনগন কি চাই।আর রাজনৈতিক দলকে ভাগ করার দরকার নেই। রাজনৈতিক দলের সহযোগীতা নিতে হবে। তা না হলে মাথাভাঙা প্রশাসন দিয়ে ক্ষমতা চালাতে পারবেন না। প্রশাসনের মাঝা ভেঙে দিয়েছেন। জনগনের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লব কেন ঘটল। ১৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের একটি অংশ। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ থাকলে ও তার বাকশালী সরকার নেতৃত্বে তাজউদ্দীন কে রাখা হয়নী।১৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে তিনটায় খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে যে মন্ত্রী সভা হয় তার নেতৃত্বে ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী এমপিরা। তাহলে ১৫ আগষ্টে জিয়াউর রহমানের দিকে আঙ্গুল তুলবেন কেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন সেনা বাহিনীর উপপ্রধান। প্রধান থাকলে উপপ্রধানের গুরুত্ব থাকে না। সেনা প্রধান শফিউল্লাহ কে জিজ্ঞাসা করেন।মোশতাকের মন্ত্রী সভায় সবাই ছিল কম বয়সী। মন্ত্রী সভার শপথ পড়ান এইচ টি ইমাম। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হয়ে গেল ১৫ বছর দেশের জনগনকে শোসন ও নির্যাতন করলো।১৯৭৪ সালের ২৫ জানুয়ারি পার্লামেন্টে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রধান মন্ত্রী ও রাস্ট্রপতি নির্বাচিত হয়। সংসদে নতুন আইন পাশ করে রাস্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা চালু করে।সকল রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করা হল।৪ টি পত্রিকা ছাড়া কোন পত্রিকা খুলবে না,চলবে না, লিখবে না। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন,আপনাদের পুর্বের উওরসুরীরা জানেন।সেদিন তারা কি মানবেতর জীবন যাপন করেছিল। গত ১৫ আগষ্টের বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক দল ছিল না। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলে কি পরিনতি হয় ১৫ আগষ্ট তার প্রমান।১৩ রা নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একটি অভুত্থান ঘটে।সেই অভুত্থানে খালেদ মোশাররফ শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বদলী করে। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেকে মেজর জেনারেল পদন্নতি নেন।সেনা প্রধানের ব্যাচ পরান খন্দকার মোশতাক। বিচারপতি আবু সায়েম রাস্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণ করে। খালেদ মোশাররফ অভুত্থান করে ৪ তারিখ রাতে জেল খানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। এর আগে জিয়াউর রহমান কে বন্দি করা হয়।জনগন এক সময় নেতৃত্ব শুন্য মনে করে। আর তখন সিপাহী জনতা একসাথে যুদ্ধ করে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে।সিপাহি জনতা ও তখনকার রাজনৈতিক দল গুলো বুঝতে পারে আবার গনতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।ঠিক পরের দিন সকাল সাড়ে ৭ টায় বেতারে ভাষন দিয়ে বলে আমি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বলছি,আসুন আমরা একসাথে দেশ গড়ি।৫ আগষ্ট আমরা কেউ কেউ বলি নতুন করে দেশ সাধীন হয়েছে নো দেশ সাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ৫ আগষ্ট আমরা সৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমরা আন্দোলন করেছি ন্যায় বিচার,গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য।সংস্কার করেন।আমরা ও চাই সংস্কার হোক কিন্তু সেটা যোক্তিক।আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য।কিছু রাজনৈতিক দল আছে যারা কখনো সরকার গঠন করেনী তারা অন্যর লেজ ধরে ক্ষমতায় গিয়েছে। তারা বড় কথা বলে। এটা ঠিক নয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজ খুলনায় ৮ নভেম্বর বিকাল তিনটায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে র্যালী পুর্বক সমাবেশ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য প্রদান কালে এ কথা বলেন। খুলনা মহানগর বিএনপি আহবায়ক এ্যাড: শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, নির্বাহী সদস্য মুজিবুর রহমান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবু হোসেন বাবু,স ম আব্দুল রহমান,রেহানা ঈসা,ইমাম হোসেন, শেখ সাদী প্রমুখ। আলোচা সভা শেষে একটি বিশাল র্যালী নগরীর শিববাড়ি মোড় হতে শুরু করে রয়েল মোড় হয়ে কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
Leave a Reply