সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল:
চন্দনাইশ উপজেলায় ১৬ অক্টোবর বুধবার যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে জোয়ারা ইউনিয়নের "ফতেনগর পূর্ব সুনীতি সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারে" পালিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, প্রদীপ প্রজ্জলন, ফানুস উড়ানো ইত্যাদি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদযাপিত এ উৎসব উপভোগ করেন প্রতিবেশী মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও। সন্ধ্যার পর আকাশ ফানুসের আলোয় রঙিন ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠে।
প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ধর্মদেশনা দেন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সোমানন্দ মহাথের। প্রধান শিক্ষক প্রমোদ রঞ্জন বড়ুয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দোহাজারী পৌরসভা প্রশাসক ডিপ্লোমেসি চাকমা। অন্যদের উপস্থিত ছিলেন করুণাজ্যোতি ভিক্ষু, বিশিষ্ট সমাজচিন্তক সমীরন মারমা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক তাপস বড়ুয়া, কমিটির সেক্রেটারি মৃদুল বড়ুয়া, ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগম হেনা, ইঞ্জিনিয়ার বজল আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ধর্মপ্রাণদের বিশ্বাস- আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করার নামই প্রবারণা। বৌদ্ধ ধর্মমতে, আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে মহামানব গৌতম বুদ্ধ নিজের কেশ ধাতু আকাশপানে ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, যদি তার বর্ষাবাস পুর্ণতা পায় তবে এই কেশধাতু নিচে পড়বে না। হিংসায় উন্মুক্ত এই অশান্ত বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও সাম্য-মৈত্রী জগতের সকলকে অনুপ্রাণিত করবে।