অনলাইন ডেস্ক:
চন্দনাইশের দোহাজারীতে অগ্নিকাণ্ডে ছোট-বড় ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা হবে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা।
আজ রবিবার (৯ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে দোহাজারী হাজারী বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, আজ ভোর ৪টার দিকে দোহাজারী হাজারী শপিং সেন্টারের পাশে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশাপাশি ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকরা হলো অঞ্জন পালের (পাল স্টোর- মুদি দোকান), জাহাঙ্গীর আলমের (পানাহার রেস্তোরা), মো. আলী আকবরের (আলী ঝাল বিতান এন্ড কুলিং কর্ণার), মো. নাছির উদ্দীনের (তামিম কুলিং কর্ণার), নুরুল মোস্তফার (পান ও বেকারি) এবং আবদুর রশিদের (পানের দোকান)।
আগুনে হাজারী শপিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত মো. মুছার মালিকানাধীন রূপসী বিউটি পার্লারের ৪টি এসি পুড়ে যায় এবং পার্লার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আলী ঝাল বিতান এন্ড কুলিং কর্ণারের মো. আলী আকবর জানান, আগুনে তার কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দোকানের ক্যাশে রক্ষিত সমিতির ৭০ হাজার টাকাও পুড়ে যায়। পাল স্টোরের কর্মচারী রূপন জানান, চোখের সামনেই পুরো মুদি দোকান পুড়ে গেলেও আগুনের তীব্রতায় কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। শুধু ওই মুদি দোকানেই ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো, কামরুল হাসান জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের আগেই বড়-ছোট ৬টি দোকান পুড়ে যায়। কিভাবে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও চা ও কুলিং কর্ণারের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে বলাবলি করছিলেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply