চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করে পাকিস্তানী দূতাবাসেরর পদত্যাগকারী প্রথম বাঙালি কূটনীতিক,দ সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত কে এম শেহাবুদ্দিন’র দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) এ উপলক্ষ্যে বাদে আছর চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটি গ্রন্থাগারের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লেখক ছড়াকার শাহজাহান আজাদের সভাপতিত্বে ও চন্দনাইশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. নুরুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ছড়াকার ও সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, উত্তর হাশিমপুর রহমানিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি আলহাজ নুরুল আলম ম্যানেজার, গাছবাড়িয়া সাব- রেজিস্ট্রার অফিসের এক্সট্রা মোহরার টিপু সুলতান,
সংগঠক মীর খালেদ মাহমুদ, সংগঠক জোবায়ের আজাদ ও মোহাম্মদ সাইমুন প্রমুখ।
মরহুম কে এম শেহাবুদ্দিনের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন রহমানিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আবদুল হামিদ ।
সভাপতির বক্তব্যে শাহজাহান আজাদ বলেন, কে এম শেহাবুদ্দিন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার (মোহাম্মদপুর) কৃতিসন্তান এবং গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের (১৯৫৪ ব্যাচ) প্রাক্তন কৃতী শিক্ষার্থী। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি কূটনীতিক যিনি ১৯৭১’র ২৫ মার্চ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইটে’র নামে নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালী নিধন তথা পাশবিক গণহত্যার প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল (মুজিবনগর সরকার গঠন হবার আগেই) দিল্লিস্থ পাকিস্তানী দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারীর পদ থেকে ইস্তেফা দিয়ে অনাগত বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছিলেন। তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর সহকর্মী পাকিস্তানী দূতাবাসের সহকারী প্রেস এ্যটাশে আমজাদুল হক। কে এম শেহাবুদ্দিন নিজ স্ত্রী বুলবুল ও দু’শিশু কন্যার নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ চিন্তা ভুলে গিয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায়ে প্রেস কনফারেন্স করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। কূটনৈতিক যুদ্ধে তাঁর অবদান স্মর্তব্য। তাঁর বিখ্যাত লেখা ‘ There and Back Again: A Diplomat’s Tale ‘ গ্রন্হটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা সংগ্রাম বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস গ্রন্হ।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সাহসী ভৃমিকার জন্য ২০১৬ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পদক- পুরস্কারে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালে আমজাদুল হককেও এ পুরস্কার দেয়া হয়।
Leave a Reply