চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’-এ স্লোগানে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে প্রায় ৩৯ হাজার ৪শ ৯২জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট নিয়ে জাতীয় ভিটামিন-এ ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হয়। ভিটামিনএ ক্যাপসুল খাওয়ানোর শতকরা হার ৯৯%. বাদ পড়া শিশুরা পরবর্তীতে স্থায়ী কেন্দ্র চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খেতে পারবে।
জাতীয় পুষ্টিসেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা: কাজী মো: আবির আমান, জুনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিও) ডা: শ্রীপতি ভট্টাচার্য, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব সুমিত ভট্টাচার্য, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আবু রাশেদ মোহাম্মদ নুরুদ্দীন, এমওডিসি ডা: দীপন দেবনাথ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান পলাশ নাগ সহ এমটি ইপি আই, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোরকিপার, সিনিয়র সহকারী নার্সবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতার চন্দনাইশের যুব রেড ক্রিসেন্ট একটি টীম।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা বলেন, সারা দেশের ন্যায় চন্দনাইশ উপজেলায় ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। চলতি বছর ক্যাম্পেইনে চন্দনাইশ উপজেলায় স্থায়ী ২টি ও অস্থায়ী ২৪০ টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, মূলত শৈশবকালীন অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং শিশু মৃত্যুর হার কমাতে সরকার এই ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন পরিচালিত করছে। বছরে দুইবার এই ক্যাম্পেইন হয়ে থাকে। তাই সকল সচেতন অভিভাবকদের নিকটস্থ টিকাদান কেন্দ্রে নিজ নিজ শিশুদের নিয়ে টিকা খাওয়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply