সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল: চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের মাইগাতা গ্রামে এক অগ্নিকাণ্ডে ৭ বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবী, এ অগ্নিকাণ্ডে পরিবারগুলোর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল ৫ মার্চ দুপুর ১২ টায় রান্নাঘর থেকে উৎসারিত আগুন ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ৭ ঘরই সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, বৈদ্যদের পুলের গোড়ার প্রয়াত দয়াল দের বাড়ির সুজন দে, সুমন দে, রঞ্জিত দে, লিটন দে, ছোটন দে, উজ্জ্বল দে, বিধবা অঞ্জলী দে ও স্বামী পরিত্যক্তা বেবী দাশের কাঁচা বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়। চন্দনাইশ ফায়ার ব্রিগেড সার্ভিস ও স্থানীয় জনসাধারণ দীর্ঘ দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পরিবারগুলোর নগদ টাকা, স্বর্ণলংকার, কাপড়-ছোপড়, আসবাবপত্র, মূল্যবান কাগজপত্র, হাঁস-মুরগী ও গবাদিপশুসহ ২০ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, ১টি গর্ভবতীসহ ৩টি ছাগল পুড়ে অঙ্গারে পরিনত হয়। দুই মহিলার লক্ষাধিক পুড়ে যাওয়া টাকার অংশ পাওয়া গেছে। ঘরগুলো সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হওয়ায় গৃহবাসীরা এখন নিঃস্ব, খোলা আকাশর নীচে দিনাতিপাত করছে।
বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ১০ কেজি করে চাল ও ২টি করে কম্বল বিতরণ করেন এবং আরো আড়াই হাজার করে নগদ টাকা প্রদানের আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাস্টার কল্যাণমিত্র বড়ুয়া, সাংবাদিক সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, উপজেলা একাউন্টস অফিসার (লামা) কাঞ্চন দে, পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর রাজীব, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাখাওয়াত হোসেন টিপু, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জয়দেব গাঙ্গুলী নরেশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সরওয়ার কামাল লিটন, খেলাঘরিয়ান রাজীব আচার্য্য, পিআইও অফিসের মহিউদ্দিন, নারীনেত্রী রূপনা গাঙ্গুলী প্রমুখ। এছাড়াও বরমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের খোরশেদ আলম টিটু, পটিয়া আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কবিশেখর নাথ পিন্টু, বিকাশ মজুমদার, বরমা প্রেসক্লাব, স্বনির্ভর সেতুবন্ধন ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্ট হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ অগ্নিদূর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।