অনলাইন ডেস্ক: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প শেষ করতে তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৯ সালে প্রকল্প কাজ শুরু হয়। সময় বাড়ার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে এ প্রকল্পের ব্যয়ও। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্মতি মিললে এ প্রকল্পের ব্যয় বাড়বে প্রায় ১২শ কোটি টাকা। আর সময় গড়াবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
নকশা ও ভূমি জটিলতা, বিভিন্ন সংস্থার নারাজি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ফলে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার ১৯৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ৩৬ শতাংশ বাড়ছে প্রকল্পটির ব্যয়।
প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান জানান, এক্সপ্রেসওয়ের অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ, টোল প্লাজা নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ বিভিন্ন কারণে ব্যয় বাড়ছে। এসব জটিলতায় সময়মতো কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই প্রকল্প ব্যয় ও সময় দুটিই বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হলে শুরুতে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস জানান, নকশাসহ বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে প্রকল্পটি নিয়ে। বন্দর এলাকায় শুরুতে যেভাবে প্রকল্পের ডিজাইন করা হয়েছিল সেভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।