নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপি'র তুমব্রু উত্তর পাড়া এলাকার জাহিদ হোসেন মাস্টারের ছেলে চিহিৃত চোরাকারবারি, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জয় খোলস পালটিয়ে বিএনপি'র মিছিল-মিটিংয়ে সরব হয়ে উঠেছে।পুর্বের চোরাই কারবারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এখন পুরোদস্তুর বিএনপি সেজেছে। শেখ হাসিনার পতনের পর খোলস পাল্টে বিএনপি হওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে ব্যাপক অনুসন্ধানে উঠে আসে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বিগত ১৫ বছর আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠন ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বীরদর্পে চোরাই ব্যবসা করে বিপুল কালো টাকার মালিক বনে যান।চোরাকারবারির তকমা মুছতে নিজেকে মেম্বার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে নিজের এলাকায় লাখ-লাখ টাকা ব্যয় করেন উন্নয়ন মুলক কাজের মাধ্যমে। নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে সীমান্তে অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা বোরহান আজিজের বিশ্বস্থ সহকারীর ভুমিকায় এলাকায় কায়েম করেছিল ত্রাসের রাজত্ব। এই সাইফুল ইসলাম জয় চোরাকারবারের মাধ্যমে শুণ্য থেকে এখন কোটিপতি বলে এলাকায় লোকমুখে শুনা যাচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম জয় ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করে আসছিল। তার নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বিএনপির একাধিক কর্মী, সেই ছাত্রলীগ নেতা এখন বিএনপির অঙ্গসংগঠনে আসার গুঞ্জন শুনতে পাচ্ছি। তা আমরা কোনদিন মানব না। আমরা বিগত ১৬ বছর যাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তারা কিভাবে শহীদ জিয়ার দলে ভিড়তে চাই, তা আমরা কোন দিন মেনে নেবনা। তিনি আরও বলেন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জয়কে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে তুমব্রু সীমান্তের চোরাচালানের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আমরা মনে করেন। ছাত্রলীগের নেতা সাইফুল ইসলাম বিএনপি'র মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিয়ে নিজেকে আহামরি ক্ষমতাধর দাবী করে এলাকায় কথায়-কথায় মানুষের সাথে সংঘাতে জড়ান,মারধর করেন।সম্প্রতি নিজের চোরাই মালামাল মিয়ানমারে পাচার কালে উত্তর পাড়ার এক টমটম চালকের ছেলে বেধড়ক মারধর করেন। সাইফুলের ক্ষুদ্র একটি মুদির রয়েছে উত্তর পাড়ায়।তা দিয়ে কিভাবে লাখ-লাখ টাকার মালিক বনেছে? প্রশ্ন রাখেন অনেকেই। তার হটাৎ এতো টাকার মালিক আর লাখ-লাখ টাকা বিলিবন্টন করার আয়ের উৎস কোথায়? তা নিয়ে প্রবল সন্দিহান এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন তারা (আওয়ামীলীগ) আমাকে জোর করে নিয়ে যেতো, তখন আমি কিছু বুঝতামনা।৫ বছর আগের কথা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম বাহাদুর বলেন, আওয়ামী দোসর ও তাদের কোন পেত্মতা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র নাম ব্যবহার করে কোন চাঁদাবাজি ও মানুষকে হয়রানি করলে তাদের ধরে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। সাইফুল ইসলাম জয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেউ নয়। সে যদি নিজেকে বিএনপি কর্মীপরিচয় দেয়, তাহলে আমি স্থানীয়দেরকে অনুরোধ করবো, তাকে আটকিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতে।
উখিয়া প্রতিনিধি: