আজ ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খুলনা সহ সারাদেশে মধ্য রাত থেকে রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি ঘোষণা,বন্ধ ট্রেন চলাচল।


মোঃ রবিউল হোসেন খান : খুলনা ব্যুরো >>> খুলনা সহ সারাদেশে মধ্য রাত থেকে রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি ঘোষণা, বন্ধ রয়েছে রেল চলাচল। আজ ২৮ জানুয়ারি মধ্য রাত থেকে খুলনায় বন্ধ রয়েছে রেল চলাচল। বেতনের সাথে অবসর ভাতা দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবি পুরনের দাবিতে ট্রেন না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন রেলের রানিং স্টাফরা। এতে আজ রাত ১২ টা থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।বাংলাদেশ রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন গত ২৭ জানুয়ারি বিকালে রেল ভবনে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে আমাদের মাইলেজ, রানিং অ্যালাউন্সের কোনো দাবি পুরনের আশ্বাস মেলেনি। তাই ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে আমরা কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। এদিকে ঢাকা রেল স্টেশন সহ কোথাও কোথাও ট্রেনের টিকিট দেখালে বিআরটিসি বাসে করে করে গন্তব্য যেতে পারছেন কিন্তু খুলনা থেকে এ ধরনের কোন ব্যাবস্থা করা হয়নি। সরজমিনে খুলনা রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় স্টেশনে আসা যাত্রিদের যাত্রার নিধারিত সময়ের পর টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন খুলনার কয়েক হাজার যাত্রি। এ ব্যাপারে কথা হয় খুলনা রেল স্টেশন মাস্টার মো: জাকির হোসেনের সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, মুল বেতনের সাথে রানিং অ্যালাউন্স পেনশন দেওয়া এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা, খুলনা সহ দেশে কর্মবিরতি পালন করছে।বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ( লোকোমাস্টার, গার্ড,টিটিই)। এদিকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট করেও গন্তব্যে যেতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। টিকিট নির্ধারিত সময়ের পর ফেরত দিয়ে টাকা নিচ্ছেন তারা।অনেকেই আবার বিকল্প পথে যাত্রা করছেন। খুলনা রেলস্টেশনে সব থেকে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, শান্তাহার, ঢাকার যাত্রীরা।এদিকে বিকল্প হিসেবে খুলনায় বিআরটিসি বাস সার্ভিসও চালু করা হয়নি।এতে স্টেশনে অনেক যাত্রীকে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে দেখা গেছে।প্রসঙ্গত রেলের রানিং স্টাফ কারা, কি তাদের দাবি, গার্ড,লোকোমাস্টার,সাব লোকোমাস্টার ও টিটিইরা রেলের রানিং স্টাফ। সারাদেশে রেলের ১৭শর বেশি রানিং স্টাফ কাজ করেন।দৈনিক কর্মঘন্টা ৮ ঘন্টা হলেও স্টাফদের গড়ে ১৫- ১৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের আগে দেওয়া হতো বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ে ভাষায় বলা হয় মাইলেজ।মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ। প্রতি ১০০ কি: মি: ট্রেন চলাচলে রানিং স্টাফরা মুল বেতনের একদিনের বেসিক বেতনের সমপরিমান টাকা অতিরিক্ত পেতেন। ৮ ঘন্টায় ১ দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতিমাসে কাজ দাড়াই আড়াই বা তিন মাসের সমপরিমাণ।তাদের বেতনও সেভাবে দেওয়া হতো।এছাড়া মুল বেতনের হিসেবে অবসরকালীন ভাতা যা হয়, তার সাথে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হত।২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন করছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর