খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশা কালীবাড়ী বাজারে আজ ২৮ অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে একদল ডাকাত দত্ত জুয়েলার্সে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা ও সর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে। ভুক্তভোগী দত্ত জুয়েলার্সের মালিক উত্তম দত্তের সাথে কথা বলে জানা যায়,আজ আনুমানিক দুপুর ১ থেকে সোয়া ১ টার মধ্যে হঠ্যাৎ দোকানের সামনে বোমা ফুটিয়ে ৫ জন ডাকাত দলের সদস্য জুয়েলার্সের ভেতরে প্রবেশ করে।পরে তারা দোকানের ভেতরে ১ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।এতে জুয়েলার্সের সর্নালংকারের তাক চুর্নবিচুর্ন হয়ে যায়।এ সময় দোকানে থাকা উত্তম দত্ত ভয়ে কাপতে থাকেন।তখন ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে ক্যাশে থাকা নগদ ২ লাখ টাকার বেশি ও আনুমানিক ৫৫ থেকে ৬০ ভরি সর্নালংকার নিয়ে প্রাইভেটকারে করে পালিয়ে যায়।
এতে ডাকাত দল আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ লাখ নগদ টাকা সহ সর্নালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় বলে ভুক্তভুগী জানায়। বাজারে এলাকাবাসী ও দোকানদার সুত্রে জানা যায়, দুপুরে দিকে বাজার প্রায় খালি এ সময় ডাকাত দল প্রথমে বাহিরে বোমা ফাটায় ও পরে দত্ত জুয়েলার্সে প্রবেশ করে গুলি করে মালিক উত্তম দত্তের নগদ টাকা ও সর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়।উপস্থিত বাজারে জনতা ও দোকানদাররা ইট পাটকেল ছুড়ে ডাকাত দলের প্রাইভেটকার আটকাতে গেলে প্রাইভেট কারের গ্রাস ভেঙে যায়।পরবর্তীতে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
তিনি প্রতি দিনের ন্যায় বাজার করতে আসেন এবং দেখেন কয়েকজন লোক প্রাইভেট কারে এসে উত্তম জুয়েলার্সে প্রবেশ করে ও পরে গুলির শব্দ শুনি।এর পর ৫ জনকে জুয়েলার্স থেকে বেরিয়ে প্রাইভেট কারে করে পালিয়ে যেতে দেখি।এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোতাহার আলীর সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার খবর মোবাইলে শুনে সাথে সাথে মোবাইল টিম সহ পুরো খুলনা পুলিশকে জানানো হয়।এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের টিম ফুলতলা থানার নিকটবর্তী এলাকা হতে ডাকাতি ব্যাবহারকারী প্রাইভেট কার সহ ডাকাত দলের ১জন সদস্যকে আটক করি।আটককৃত ডাকাত সদস্যদের নাম মো: নাজিমুদ্দীন(৪৩)।তার বাড়ি ঢাকার মিরপুর বলে জানায়। আটককৃত প্রাইভেট কারের নম্বর ঢাকা মেট্রো- গ- ১৯/৬৭৬৬। এদিকে ওসিকে উদ্ধারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, ৪ জন ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
আশা করি খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। তদন্তের সার্থে এখন কিছু বলা নিষেধ আছে। ডাকাত দল দত্ত জুয়েলার্স থেকে নগদ কত টাকা ও সর্নালংকার নিয়েছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, নগদ আনুমানিক ১ লাখ টাকা ও সর্নালংকারের ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানান। এ ঘটনায় মহেশ্বরপাশা কালীবাড়ী বাজারে আতংক বিরাজ করছে। দোকানদার ও এলাকাবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। এ ঘটনা লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
মোঃ রবিউল হোসেন খান; খুলনা: