মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা
খুলনার কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের মো: হাফিজুল ইসলাম সরদারের মৎস্য ঘেরের গোয়াল ঘরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আগুনে পুড়ে গেছে গোয়াল ঘরে থাকা গরু ও ছাগল।গতকাল রাত আনুমানিক ২ টার দিকে গোয়াল ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে গ্রাম ও আশপাশের লোকজন ওই মৎস্য ঘেরে গিয়ে ভিড় করছে।ভুক্তভোগী জানান, আমি ৬ বিঘা জমি হারি নিয়ে মৎস্য ঘের করে ফসল উৎপাদন করি এবং ঘেরের মাঝ বরাবর একটি গোয়ালঘর করে এখানে গরু ছাগল পালন করি।ঘেরে মাছ না থাকার কারনে আমি কয়েকদিন যাবৎ বাড়িতে রাত্রি যাপন করছি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক রাত দুইটা ৪০ মিনিটে আমার পাশের ঘরের এক ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেন তোমার,ঘেরের গোয়ালে দেখ আগুন জলছে, আমি সাথে সাথে বাড়ি থেকে এসে দেখি আগুন দাউ দাউ করে জলছে।
এ সময় আমার বাড়ির লোক আমার সাথে আসে ও পাশের ঘেরের থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রন করে দেখি গোয়ালে একটি গরু ও দুটি ছাগল মারা গেছে।আগুনের তাপে দড়ি কেটে তিনটি গরু ও চারটি ছাগল প্রানে বেচে গেছে।তিনি আরো বলেন,আমার গোয়াল ঘরে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।কে বা কারা শত্রুতামুলক ভাবে আমার গোয়ালঘরে আগুন দিয়ে আমাকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ঔই ঘেরে দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, ঔই ঘেরের গোয়ালঘর আগুনে পুড়ে গেছে।মাটিতে পড়ে আছে একটি গরু ও দুটি ছাগলের মরদেহ।
আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল দেখতে যাচ্ছে।এ সময় কথা হয় খিরোল গ্রামের মোস্তফার স্ত্রী রাহেলা বেগমের সাথে, তিনি বলেন আগুন দিয়ে গরু ছাগল পুড়ে মেরে ফেলা,ঠিক হয়নি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: হাসানুর রহমান ঘটনার সত্যতা সীকার করে বলেন,আমি সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখেছি কে বা কারা রাতের আধারে গোয়াল ঘর পোড়ায় গেছে।গোয়ালে থাকা একটি গরু ও দুটি ছাগল মারা গেছে।
Leave a Reply