খুলনার খালিশপুরে ফিরোজ হোসেন নামে এক যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। খুলনার খালিশপুরে ফিরোজ হোসেন (বাবু) নামের এক যুবকের রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তার সৎ মা জড়িত বলে অভিযোগ ফিরোজের ফিরোজের ছোট বোন ববির।
পিরোজ হাউজিং স্টেট, এন - ৩৮ নিবাসী মৃত : মোহাম্মাদ আলী হোসেন ও মৃত মিনু পারভীনের ছেলে। শনিবার ৩০ নভেম্বর সকালে নিহত ফিরোজ (বাবুর) ছোট বোন মোসাম্মাদ জুলিয়া আক্তার ববি এ প্রতিবেদক্কে জানান,আমার মা মিনু রহমান মারা যাওয়ার পর বাবা মোহাম্মাদ আলী হোসেন দ্ধিতীয় বিয়ে করেন।এর পর থেকে সৎ মা আনজিরা বেগম বিভিন্ন ভাবে ফিরোজ হোসেনকে মারধর করতেন। খাবার দওতেন না। প্রায় ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করতেন বলে প্রতিবেশীরা জানান।নির্যাতনের ফলে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন ফিরোজ। গত ২১ ও ২২ নভেম্বর ফিরোজ হোসেনকে ঘরে আটকে রেখে মুখ বেধে মারধর করেন সৎ মা ও তার সৎ খালা নাজিরা বেগম, রাবেয়া খাতুন, সৎ মা আনজিলা বেগমের পুর্বের ঘরের সন্তান মোহাম্মাদ সেলিম বাসায় ওই ঘরে পালক হিসেবে থাকতো।
ফিরোজের বোন ববির অভিযোগ মোহাম্মাদ সেলিম তার সৎ মায়ের সথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় ওই বাসায় বসবাস করতো।প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারি ঘটনার দিন ফিরোজকে অনেক মারধর করা হয়।এর পর থেকে বড় ভাই ফিরোজ হোসেনের কোন খোজ খবর না পেয়ে প্রতিবেশীদের সাহায্যে ২৮ নভেম্বর সকালে ঘরের তালা ভেঙে ফিরোজকে মুমুর্ষ অবস্থায় পাওয়া যায়।পরে তাকে প্রথমে খালিশপুর ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। পরে কুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।ওই দিন রাত ৩ টার দিকে ফিরোজ মারা যান। বিষয়টি ধামা চাপা দিতে সৎ মা আনজিরা বেগম ও তার অনুসারীরা বিভিন্ন মহলে দোড়ঝাপ শুরু করেছেন।
ফিরোজের রহস্য জনক মৃত্যুর কারনে আমরা সৎ মা আনজিরা বেগম, তার সামী কামাল তালুকদার, সৎ মায়ের আগের ঘরের মেয়ে রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে খুলনা নগরীর খালিশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ববি জানান অনেক বাধার মুখে ময়না তদন্ত শেষে আমার বড় ভাই নিহত ফিরোজকে আজ ৩০ নভেম্বর বাদ মাগরিব গোয়ালখালী করর স্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে আগামীকাল ১ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে খুলনা নিউজপ্রিন্ট গেটে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খুলনা সংবাদদাতা: