মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
খুলনায় নিরালা তাবলীগ মসজিদে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থান কর্মসুচি নিয়েছে। আজ ২৭ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের আগ থেকে নগরীর নিরালা তাবলীগ মসজিদের প্রবেশের জন্য সাদপন্তীরা একত্রিত হতে থাকে। এ সময় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা সাদপন্তীদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সাদপন্তীরা মসজিদের গেটের সামনে অবস্থান নিতে চাইলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।পরে তারা পিছু হটতে বাধ্য হন। এর পর মসজিদের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। জুম্মার নামাজের সময় তারা বাহিরে নামাজ আদায় করেন।এ সময় মসজিদের ভেতরে যারা ছিল তারা মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে।এদিকে খুলনায় সাদপন্তীদের বিরুদ্ধে আজ সংবাদ সন্মেলন করেছে খুলনার আলেম সমাজ।খুলনা তাবলীগ মসজিদে এ সংবাদ সন্মেলন করেন আলেমী শুরা।এ সময় মুফতি জিহাদুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশে তাওয়াতে তাবলীগ দুই ধারাতে কাজ চলতেছে। এক ধারা হলো আলেমী শুরা, আরেক ধারা হলো ইন্ডিয়ার সাদ সাহেবের কিছু অনুসারীরা তাবলীগের দাওয়াতের কাজ করতেছে।ইতিমধ্যে তাদের দাওয়াতি কার্যক্রম সারা পৃথিবীর কাছে প্রমানিত হয়েছে যে তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
গত ১৮ তারিখ আলমী শুরার সাথে যে সকল ভাইয়েরা দাওয়াতি তাবলীগের কাজ করছে তারা অবস্থান করছিল, রাতের আধারে রাত ৩ টার সময় তারা অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মুসল্লীদের নির্মম ভাবে হত্যা করেছে।ইতিমধ্যে ৪ জন শহীদ হয়েছে ও অসংখ্য সাথীরা আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাকে বিবেচনা করে সরাস্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সাদপন্তীদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। আলেমী শুরার সাথে যে সকল সদস্য কাজ করেছেন তারা সেখানে অবস্থান করছেন।যেহেতু খুলনার মারকাজ মসজিদ কাকরাইলের অর্ন্তগত এবং তারই তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। খুলনার যে সমস্ত ওলামা একরাম এবং তাবলীগের ভাইয়েরা আলেমী শুরার সাথে কাজ করছেন তারা আগামী ১০ দিন নিরালা তাবলীগ মসজিদে শান্তিপুর্ন অবস্থান করবেন।দাওয়াতে তাবলীগের ওর যাতে সাদপন্তীরা হামলা করতে না পারে তাই পুলিশ, সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মুফতি জিহাদুল ইসলাম। মুফতি জিহাদুল ইসলাম বলেন, খুলনা মারকাজের জায়গাটি দান করেছেন বড় হুজুর রহমাউল্লা। তিনি এ জায়গা দান করেছেন সহীহ ইসলাম চর্চার জন্য। তাই সাদ বাহিনী ইসলাম বিরোধী কোন কাজ এই মসজিদে করতে পারবে না। সংবাদ সন্মেলনে মুফতি গোলামুর রহমান বলেন,তাবলীগের যে কাজ খুলনা কেন্দ্রীক চলে কাকরাইল মসজিদের অধীনে শুরাই নিজামের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যেহেতু সরকার কাকরাইল মসজিদ থেকে সাদপন্তীদের অধিকার বঞ্চিত করেছে। আমরাও খুলনার প্রশাসনের কাছে এই দাবি জানিয়েছি।যেহেতু একই ঘটনা একই ব্যাবস্থা তাই আমাদের এই অধিকার দেওয়া হোক।আমরা একক ভাবে এই জায়গায় কাজ করবো তারা যেন এ জায়গায় না আসে।তাবলীগ মসজিদে পর্যাপ্ত লোক অবস্থান করবে এবং এখানে পাহারাদারের জামাত তেরী করে দেওয়া হয়েছে। তারা মারকাজ পাহারা দেবে।এ সময় প্রশাসনের কাছে তাবলীগ মসজিদে অবস্থানকারীদের নিরাপত্তার জন্য আহবান জানান তিনি।সংবাদ সন্মেলন উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ হারুন, মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মুফতি মাহমুদ, মুফতি গোলাম রহমান,মুফতি আজিজুল রহমান, মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি মিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হাসান প্রমুখ।