নিজস্ব প্রতিবেদক >>> কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মো.আলমের ইয়াবা কারবার,চোরাই গাড়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, মোবাইল ছিনতাই বাহিনী গঠন করে বহুমুখী অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।তার বিরুদ্ধে গাড়ী চুরি,মাদক,অস্ত্র ব্যবসা,নিজস্ব বাহিনী দ্ধারা দাঙ্গাহাঙ্গামায় ভাড়াটিয়া হিসেবে সশস্ত্র ব্যবহার করা সহ বহু অপরাধের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।তার ইয়াবা পাচার সহজ করতে একাধিক বিয়েও করেছেন।সেসব স্ত্রীদের মাধ্যমে ইয়াবা কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন মো.আলম।ইয়াবা কারবারে অনেকের লাখ-লাখ টাকা আত্মসাৎ করার জনশ্রুতি রয়েছে তার বিরুদ্ধে।আবদুল গণি নামের এক ব্যক্তির নিকট থেকে সরল বিশ্বাস জমিয়ে মোটা টাকা লভ্যাংশ প্রদানের প্রলোভনে ফেলে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই আলম।আবদুল গণির মত বহু লোক রয়েছে আলমের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়েছেন।তার নিজের অপরাধ আড়াঁল করতে ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন পরিচয়ও দেন।কখনো কুতুপালং কিংবা মহেশখালীর স্থানীয় পরিচয়ও দেন।তার ইয়াবা ভান্ডারে রয়েছেন ঢাকা,চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, চকরিয়া,মহেশখালী ও কুতুপালং এলাকার শক্তিশালী ইয়াবা মহাজন।
তার অবৈধ পথে আয় করা লাখ-লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে মহেশখালী,কুতুপালং, কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।তার অবৈধ পথে অর্জিত টাকার জোরে চলাফেরা করেন গ্যাং বেধে।কথায়-কথায় মানুষের সাথে বিবাদে জড়ান এই রোহিঙ্গা।
তার অপরাধ কর্মকান্ডে প্রশাসনের আচঁড় না লাগায় দিন-দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন আলম।
মো.আলমের(৩০) বসবাস কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পে।ব্লক-সি’র আশ্রিত রোহিঙ্গা মৃত মীর আহমদের ছেলে সে।ইয়াবা পাচার ও মজুদের জন্য কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের সাবেক মাঝি হাফেজ আহমদের কন্যা কিসমত আরা’কে দ্ধিতীয় বিয়ে করেন।সেখানে রাখেন ইয়াবা সহ চোরাই মালামাল।মো.আলম এদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা হয়েও কোন ধরণের আইন তোয়াক্কা করেন না।কুতুপালং ক্যাম্প অভ্যন্তর ছাড়াও সর্বত্র অপরাধ জগতের রাজত্ব করছেন মো.আলম!তিনি প্রায়ই কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ান।অনুসন্ধানে এমনই ভয়ংকার তথ্য উঠে আসে রোহিঙ্গা মো. আলমের বিরুদ্ধে।মটর সাইকেল চুরির মধ্যে দিয়ে অপরাধ জগতে পা বাড়ায় মো.আলম।অবশ্যই সফলও হন। বেশ কয়েক বার চুরি সংঘটিত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার সাথে যোগসাজস রয়েছে বিভিন্ন এলাকায় মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের। বিগত ২০২১ সালের ১৯ আগষ্ট উখিয়া থানা পুলিশের অভিযানে চোরাইকৃত একটি মটরসাইকেলসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন মো.আলম।ওই মামলায় সে জেলও খাটেন।চোরাই মোটর সাইকেলসহ গ্রেফতার হওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।ছবিটি প্রতিবেদকের সংরক্ষণে রয়েছে। মো.আলমের অপকর্মের সহযোগী ৭/৮ জন সশস্ত্র রোহিঙ্গা যুবক তার সাথে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়ান এবং অপরাধ কর্মকান্ডে ব্যবহার করে থাকেন।গত ১৫ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত এগারো টারদিকে রোহিঙ্গা মো.আলম তার দলবল নিয়ে স্থানীয় এক যুবক’কে অপহরণের চেষ্টা চালান।ওই সময় তার বাহিনীর সদস্যরা ধারালো দা,কিরিচ,লাঠিসোঁটা ছাড়াও তাদের কোমরে অস্ত্র সাদৃশ্য কিছু দেখা যায় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী কামাল,ইউসুফ সহ অনেকেই।রোহিঙ্গা মো.আলমের অপরাধ সাম্রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হানা দেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।স্থানীয় এবং নিরীহ রোহিঙ্গাদের দাবী মো. আলমের অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে হবে।অন্যথায় সে তার বাহিনী নিয়ে বড় নাশকতা বা সংঘাত সৃষ্টি করতে পারেন গ্রাম এলাকায় এমন আশংকা রয়েছে।এসব বিষয়ে মো.আলম বলেন,আমি বার্মাইয়া হলেও,আঁর জন্ম এদেশে।কাকে কিভাবে, কি করতে হয়, আমার জানা আছে।অন্যদের চেয়ে আমি ১০টা বেশী জানি বেশী বুঝি।উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ঠাকুর দাশ এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন,ক্যাম্প অভ্যন্তরে ওই ধরণের কোন গাড়ী চলেনা।যদি রোহিঙ্গাদের কেউ চালাচ্ছে প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) পুলিশ পরিদর্শক মো.আরিফ হোসাইন বলেন,মাদকের ব্যাপারে ছাড় নেই।সে যত বড় ক্ষমতাশালী হোক।মো.আলমের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।মাদক কারবার কিংবা যেকোন অপরাধে জড়িত আছে, প্রমাণ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply