আজ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানাতে চাই ডোনাল্ড ট্রাম্প!

কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানাতে চাই ডোনাল্ড ট্রাম্প!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নানা সময়ে নানা বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর প্রতিবারই তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় জয় পাওয়ার পর তিনি এবার কানাডাকে নিজেদের অঙ্গরাজ্য বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

আজ বুধবার ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দেন।

এ প্রসঙ্গে ট্রুডো বলেন, ‘বাণিজ্য ও অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কানাডার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’ তার এ কথার জবাবে ট্রাম্প এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা কানাডার এক মন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাম্প কানাডাকে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে বিষয়টি সিরিয়াস কিছু নয়। তিনি মজা করেই এমন প্রস্তাব দেন।’

এদিকে কানাডার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেবল্যান্স বলেন,

‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মজা করছিলেন। তিনি আমাদের টিজ করছিলেন। এই ইস্যুতে এটা কোনোভাবেই সিরিয়াস মন্তব্য ছিল না।’

এর আগে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই চীন, মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর নতুন করে করারোপ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করতেই এমন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করতে চান তিনি।

এ প্রসঙ্গে নবনির্বাচিত মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট জানান, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। সেখানে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ করারোপ করা হবে।

এদিকে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান,

নির্বাহী আদেশে জারি করা ২৫ শতাংশ করের ওপর বাড়তি আরও ১০ শতাংশ করারোপ করবেন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের ওপর। যার ফলে চীন থেকে মার্কিন বাজারে আসা পণ্যের ওপর শুল্ক দাঁড়াবে ৩৫ শতাংশ। বেইজিং মার্কিন বাজারে সিন্থেটিক ওপিওড ফেন্টানাইলের চোরাচালান বন্ধ করার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।

তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকো ও কানাডার বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করবে।

ট্রাম্প আরও জানান, মেক্সিকো ও কানাডার ওপর এসব কর ততদিন পর্যন্ত থাকবে, যতদিন এসব দেশ মার্কিন ভূখণ্ডে মাদক ও অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করবে।

আরো পড়ুন


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর