আজ ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কর্ণফুলী উপজেলায় বন্য হাতির তাণ্ডাব : আহত ২ জন


কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নে বন্য হাতির তাণ্ডারে দুজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ ৮ ফেব্রুয়ারী, মঙ্গলবার ভোর ৫,৩০মিনিটের দিকে উপজেলার বড়উঠানের ৯নং ওয়ার্ড এ ঘটনা ঘটে, এতে বশরত আলীর বাড়ির মুহাম্মদ আবদুর সবুরের মেজ ছেলে মুহাম্মদ এনাম ও ভক্তপাড়ার ননি গোপালের ছোট ছেলে সজীব দে গুরুত্বর আহত হয়।

পরে আহত দুইজন কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠায়।চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তাঁরা বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। হাতির আক্রমণে দুজনের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সুমন বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলে এলাকায় আতঙ্কের নাম বন্য হাতি, কেপিজেট এর গভীর অরণ্যের হাতিগুলো দিনের বেলায় অবস্থান করে আর প্রতিদিন সন্ধ্যায় কোনো-না-কোনো কৃষকের ধান ও ফসলি জমি এবং ঘরবাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ভোরে বড়উঠান ৯নং ওয়ার্ড এর বশরত আলীর বাড়ির মুহাম্মদ আবদুর সবুরের মেজ ছেলে মুহাম্মদ এনাম ও ভক্তপাড়ার ননি গোপালের ছোট ছেলে সজীব দে গুরুত্বর আহত হয়।বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। এর আগে কালা ফকিরবাড়ি কৃষক মোহাম্মদ এলা বক্সার ঘরে ভাঙচুর করে ও ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে এবং অনেকে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন।এ বন্য প্রাণীর আক্রমন থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমরা পটিয়া বন বিভাগের কমকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ খান বলেন ,বন কর্মকর্তাকে ইউনিয়ন পরিষদে সকলের উপস্থিতিতে আমি প্রশ্ন করেছিলাম মানুষের দাম বেশী নাকি হাতির,তখন উনি মানুষের কথা বলার পরও কেন চুপ করে আছেন, জানিনা। আমরা বন্যহাতির আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান,কেপিজেট কর্তৃপক্ষ, মাননীয় মন্ত্রী সকলের সাথেই কথা বলেছি,ব্যানার লাগিয়েছি।জানিনা কি এক অজানা কারণে সবাই চুপ,এত মানুষের কষ্ট নিরসনে কেন কেউ এগিয়ে আসছে না,বুঝতে পারছিনা।আমি প্রতিদিন আতঙ্কে থাকি বড়উঠান থেকে কি দুঃসংবাদ আসে, এখন শুধু মহান আল্লাহই আমাদের ভরসা। এর আগেও এ এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যু এবং ফসিল জমিতে তান্ডব ও বাড়ি-ঘরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উপজেলার ২নং বড়উঠানে অবস্থিত কোরিয়ান এক্সপাের্ট প্রসেজিং জোন(কেপিজেট)এর গভীর জঙ্গলে এ হাতিদের বসবাস, মূলত চারপাশে বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাওয়ায় তাঁরা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসে মানুষের ঘরবাড়ি ও কৃষি জমিতে তাণ্ডাব চালাচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর