কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলা খুনিয়া পালং ইউনিয়নের শামশুল হক প্রকাশ শামশু দারোগার পুত্র প্রতারক এম, এস আজিজুল হক ও তার স্ত্রী সাফরিন হক ইটালি, পর্তুগাল ,সার্ভিয়া ও আলবেনিয়াসহ ইউরোপ মহাদেশে লোক পাঠানোর নামে ফেইক ভিসা দিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে কানাডায় লাপাত্তা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মামুনুর রহমান বাদী হয়ে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা এর নিকট বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও আদিবাসী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
যাহার মামলা নং সি,আর-৩৫৪০/২৪ ইংরেজি। বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার বিবরণ ও আদালতে দায়ের করা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের রামু খুনিয়া পালং ইউনিয়নের শামশুল হক প্রকাশ শামশু দারোগার পুত্র এম, এস আজিজুল হক ও তার স্ত্রী সাফরিন হক ঢাকার শাহজাদপুর,গুলশান এলাকায় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি খুলেন। উক্ত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আকর্ষণীয় বেতনে বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল ,সার্ভিয়া ও আলবেনিয়াসহ ইউরোপ মহাদেশে লোক নিয়োগের বাহারী বিজ্ঞাপন দেয়।
তার এই লোভনীয় চাকুরীর ফাঁদে পা দেন কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার মামুনুর রশিদ, মো: রুস্তম আলী, জুবায়েদ মিয়া, সজিব, মো: রহমত উল্লাহ, আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, তারেক মিয়া, অন্তর মিয়া,মোঃ মোবারক মিয়া, অন্তর মিয়া, মোঃ ইউসুফ ও মোহাম্মদ বুলবুলসহ আরো অনেকেই । তাদেরকে ইটালি, কানাডা নিয়ে যাবার কথা বলে তাদেরকে ভারত ও পর্তুগাল নিয়ে গিয়ে সেখানে কিছুদিন অবস্থান করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল ও ফেইক ভিসা দিয়ে প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক এম, এস আজিজুল হক ও তার স্ত্রী সাফরিন হক ।
এদিকে টাকা নেওয়ার পর থেকে প্রতারক আজিজুল হক কানাডায় পালিয়ে যান এবং তার স্ত্রী সাফরিন হক ঢাকার অফিস বন্ধ করে গা টাকা দেন।অপরদিকে ইতালি প্রবাসী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার আশরাফুল আলমের কাছ থেকেও ভিসা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কানাডায় চলে গেছেন উক্ত প্রতারক এম,এস,আজিজুল হক। আশরাফুল আলম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ঢাকার শাহজাদপুর,গুলশানে অবস্থিত ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার নামে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার প্রতারক এম এস আজিজুল হক পর্তুগাল ৭ টি,সার্বিয়া ৪ টি আলবেনিয়া ৬ টি ফেইক ভিসা সহ সার্বিয়ায় আরও ২২ পাসপোর্ট কাজ করে দেওয়ার কথা বলে ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা নিয়ে কানাডায় পাড়ি দিয়াছেন। প্রতারক এম, এস আজিজুল হক তা স্ত্রী সাফরিন হক কে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে পাসপোর্ট ও টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে আসছে।
আশরাফুল আলম বলেন, এই পর্যন্ত আমি তাকে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা দিয়াছি তার মানি রিসিট সহ সকল প্রমান তার কাছে সংরক্ষিত আছে। ,তার প্রতারণার শিকার আরও অসংখ্য মানুষ। সে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আশরাফুল আলম আরো বলেন, আমি আজ দিশাহারা আমার আত্মীয় স্বজনরা আমাকে বিশ্বাস করে পাসপোর্ট ও টাকা দিয়েছে ইউরোপে যাওয়ার জন্য। কিন্তু উক্ত প্রতারক এম এস আজিজুল হক ও তার স্ত্রী সাফরিন হক বিভিন্ন প্রতারণা ও জ্বালিয়েতির মাধ্যমে ফেক ভিসা প্রদান করে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে গেছেন ।
প্রতারণা সব কাগজপত্র, ফেইক ভিসা, ব্যাংকে টাকা দেওয়ার মানি রশিদ, মামলার অভিযোগের কপি ও ভিডিও বার্তা এই প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত আছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রতারক এম এস আজিজুল হক ও তার সহযোগী স্ত্রী সাফরিন হককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করে ভুক্তভোগীদের ২২ টি পাসপোর্ট ও ফেইক ভিসা এর বাবদ ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন ইতালি প্রবাসী আশরাফুল আলম।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি।