আজ ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঋত্বিক স্মরণে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর অপ্রকাশিত গান গাইলেন নাফিস


অনলাইন ডেস্ক: বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের স্মরণে তারই ঘনিষ্ট বন্ধু প্রয়াত গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লিখা গানে দীর্ঘ বছর পর কন্ঠ দিলেন ইত্যাদিখ্যাত জনপ্রিয় শিল্পী নাফিস কামাল।

আজ ঋত্বিক ঘটকের প্রয়ান দিবস উপলক্ষ্যে প্রথম আলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিল্পী নাফিস কামাল এ ঘোষণা দেন। আজ রাতে প্রথম আলো অনলাইনে (ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম…) পেজ গুলোতে প্রি-রেকর্ডেড এ অনুষ্ঠানটি আপলোড করা হবে । অুনষ্ঠানটিতে তিনি এ গানের পিছনের সকল গল্প শ্রোতাদের জানান। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর প্রয়াণ দিবসে মুক্তি পাবে এই গানের ভিডিও। ওইদিন গানটি তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে অফিসিয়ালি রিলিজ করা হবে বলেও তিনি জানান।

ঋত্বিক ঘটক ও কবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর দুজনের সম্পর্কেও গভীর ভাব, আবেগ আর শূন্যতার বেদনাতে রচিত ‘স্মরণে ঋত্বিক’ গান। বহুদিন ধরে অপ্রকাশিত থাকা এই গানটি সৈয়দ কল্লোলের সুরে এবং তুষার রহমানের সংগীতায়োজনে নতুন আঙ্গিকে সংগীতায়িত হয়েছে।

ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহযোগিতায় ও মিডিয়া ও কমিউনিকেশন এজেন্সি কুল এক্সপোজারের প্রযোজনায় এ গানটি প্রকাশ করা হচ্ছে। আর এনিমেশন ভিডিও প্রোডাকশনে স্টুডিও আবোল তাবোল। ভিডিও স্ক্রিপ্ট এবং পরিচালনা করেছেন সাগর সেন ও শেহাজ সিন্ধু।

গানটির প্রযোজক সংস্থা কুল এক্সপোজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক টিংকু জানান, কবি নিজে তাঁর এই অনবদ্য গানটি নাফিস কামালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সংগীতায়নের জন্য। যদিও এর সুরারোপ শুনে যেতে পারেননি তিনি। আর ঋত্বিক ঘটককে আমরা হারিয়েছি সেই ১৯৭৬ সালে। তবে দুজনের হৃদয়ে ছিল এক গভীর বাংলাদেশ এক অখণ্ড বাঙালি চেতনায়, যা প্রতিফলিত হয়েছে এই গানের চিত্রায়নে।

তিনি আরও জানান, নাফিস কামাল দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছেন সংগীতজগতে, তাঁর কণ্ঠে ধারণ করা এই বিশেষ গানটি নিয়ে। কুল এক্সপোজারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান “স্টুডিও আবোল তাবোল” টিম গানটি এনিমেটেড ফর্মে চিত্রায়ন করছে। নব্বই দশকের শেষদিকে ‘ইত্যাদি’তে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর কথা আর নকীব খানের সুরে ‘এলোমেলো’ (এই শহরে এক বাড়ি ছিল…) গানটি দিয়ে আলোচিত গায়ক নাফিস কামাল দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরে আসলেন “স্মরণে ঋত্বিক” গানটি নিয়ে।

সুরকার সৈয়দ কল্লোল জানান, গানটির মধ্যে তাঁদের শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র চর্চার বর্ণনার মাধ্যমে উঠে এসেছে বাংলার মানুষের জীবন সংগ্রাম, দুর্দশা ও আত্মপরিচয়ের সন্ধান।

এদিকে, সূদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর একমাত্র সন্তান প্রতীক তার বাবার অপ্রকাশিত গানটি রিলিজ হচ্ছে জেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, প্রথম আলো, কুল এক্সপোজার, আবোল তাবোল, ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল আর তার বাল্যবন্ধু নাফিসকে। তিনি তার বাবার গানটির অরিজিন্যাল স্ক্রীপ্ট থেকে শুরু করে সেই সময়কার কিছু ফটোগ্রাফ ও দুর্লভ তথ্য প্রদান করে সহায়তা করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর