মোঃইনামুল হক,রংপুর
দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতে দিন দিন শীত বাড়ছে। ক্রমান্বয়ে কমছে তাপমাত্রা। রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুর জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া শীত বাড়াচ্ছে। দিনাজপুর , ঠাকুরগাঁও, রংপুর, নীলফামারীর, পঞ্চগড়সহ বিভাগের প্রায় সবাই জেলায় দিন দিন তাপমাত্রা কমছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, নভেম্বর মাসজুড়ে তাপমাত্রা কমবে। ডিসেম্বরে শীতের তীব্রতা বাড়বে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ও জানুয়ারির শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে
হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্য জেলার মধ্যে দিনাজপুর, পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও জেলাতে তুলনামূলক আগেভাগে শীত নামে। জেলা গুলোতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে দুই দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (১৬ নভেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, যা বৃহস্পতি ও শুক্রবার ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে দিনাজপুর জেলায। যদিও সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সূর্য উঠেছে। কিন্তু সূর্যের তেমন উত্তাপ ছিল না। এ ছাড়া শনিবার বিকাল থেকে দিনাজপুর জেলায় একটানা ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার কালিতলা এলাকার রনজিত বলেন, ‘বাতাসের কারণে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীত বাড়লে আমাদের মতো বয়স্ক মানুষের একটু বেশি কষ্ট হয়।’
একই উপজেলার গোপালপুর এলাকার রহমত আলি বলেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে আমাদের কৃষকদের দুশ্চিন্তাও বাড়ছে। আলু, টমেটো ও বোরো ধানের জন্য এই শীত ও কুয়াশা মারাত্মক ক্ষতিকর।’
রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার মিটু দাস বলেন, উত্তর অঞ্চল মঙ্গা কবলিত হওয়ায় অনেক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। শীত বাড়লে গরম কাপড়ের অভাবে দরিদ্র মানুষের দূর্ভোগ বাড়ে।
তাই এই অঞ্চলের মানুষ দিকে শীতকালে অন্তর্বতীকালীন সরকারের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
Leave a Reply