শ.ম.গফুর >>>কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪টি শেল্টার ও একটি দোকান ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বি-ব্লকের, বি-৫২ সাব ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।আশ্রয় শিবিরের রোহিঙ্গারা জানান, বি-ব্লকের, বি-৫২ সাব ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ রশিদের ঝুপড়ি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে ক্যাম্পের ফায়ার সার্ভিসের সেচ্ছাসেবকরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। ততক্ষণে ৪টি বসত ঘর ও একটি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।মোহাম্মদ রশিদ অভিযোগ করে বলেন, আমার দোকান ও বসত ঘরে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সহযোগিতা করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা নারী রহিমা খাতুন জানান, আমার বসত ঘর ও দোকানে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে। তা অনেকেই দেখেছেন।তখন আমার স্বামী বাসায় ছিলনা। তাই কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। ক্যাম্পের সেচ্ছাসেবকরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সিরাজ আমিন জানান, ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনেছি। কারা আগুন দিয়েছে তা তদন্তপূর্বক জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আগুনের খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই শিবিরের সেচ্ছাসেবকরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। এতে একটি দোকান ও ৪ টি বসতঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। সেচ্ছাসেবক ও শিবিরের বাসিন্দারা সচেতন থাকার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছোট বড় ৭টির অধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply