উখিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার স্বপ্ন বুনছেন কয়েক হাজার কৃষক। প্রতি বছর আমন ধান চাষের মাধ্যমে এ উপজেলার চাহিদা মিঠিয়ে উদ্বৃত্তের মাধ্যমে বড় ধরনের ভূমিকা রেখে আসছেন কৃষকরা।সোমবার (২৮ অক্টোবর) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের আমন ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকাগুলোতে আমন ধানের চারা বাতাসে দোল খাচ্ছে, দেখে মনে হয় সবুজ বিছানা। এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। আর ক্ষেতগুলোকে নিয়ে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।
চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর রোপা আমন ধান চাষে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে পাচিং বসানো হয়েছে ৭ হাজার ৩০০টি।এ বিষয়ে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদার বিল গ্রামের কৃষক সিরাজ মিয়া,পালংখালীর আবদুস ছাত্তার জানান, ভাদ্র মাসের মধ্যেই জমিতে রোপণের কাজ শেষে হয়েছে এবং জমিতে আগাছা ও কীটনাশক, সার প্রয়োগের কাজও শেষ হয়েছে। এখন ধানের তোঁর বের হয়েছে। কিছুদিন পরে ধানকাটার অপেক্ষায় আছি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সর্বোচ্চ ফলনের আশাবাদী কৃষক সিরাজ ও ছাত্তার।
এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওয়ার ফলে ধানের চারার ও ভালো ফলন হয়েছে। তাই আশা করা যায়, বাকি সময়ে যদি কোনো দুর্যোগ না হয় ভালভাবে ধান তুলতে পারলে লাভবান হতে পারব। রত্নাপালং ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বেনজির ইকবালের পরামর্শক্রমে মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকের ধানের খোঁজ-খবর রেখেছি। মাঠ পর্যায়ে ধান চারা রোপণ থেকে শুরু করে সবকিছুর ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা যেন ভালভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারেন, সেজন্য কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।
উখিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর রোপা আমন ধান চাষে অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে পাচিং বসানো হয়েছে ৭ হাজার ৩০০টি।নিজাম উদ্দিন বলেন, কৃষকদের আমনধান চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সরকারিভাবে প্রণোদণা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এই এলাকার জমিও আমন চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ধান ক্ষেতের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। চলতি মৌসুমে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকেই আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।যেটি এখনই দেখা দিয়েছে।
শ.ম.গফুর, ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক: