আজ ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঈদগাঁও বাজারের ইজারাদার রমজান কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণা মর্মে নিউজের প্রতিবাদ


ঈদগাঁও বাজারের ইজারাদার রমজান কোম্পানির বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ করেছেন তাঁর কাছ থেকে সাব ইজারা নেওয়া শাহ জাহান নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে ঈদগাঁও কেন্দ্রিক কিছু ফেইসবুক পেইজ ও বিভিন্ন ফেক আইডির লেখালেখি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে, শাহ্ জাহান যে অভিযোগ করেছেন, তা ডাহা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও পাওনা টাকা না দেওয়ার কুটকৌশল। মূলতঃ আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করতে এবং পাওনা টাকা না দিতেই শাহ্ জাহান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। শাহ্ জাহানের সূত্র ধরে প্রকাশিত নিউজে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তার একটি হচ্ছে আমি তাকে ৫ টি খাত উল্লেখ করে সাব ইজারা দিয়েছি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। যেখানে বাজার ইজারার স্বারকে কোন খাত উল্লেখ নেই, সেখানে আমি তাকে খাত উল্লেখ করার প্রশ্নই আসে না। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, লোড আনলোড উল্লেখ করে ৩০ লাখ টাকা গ্রহণ করেছি, এটাও সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যাচার ও অপবাদ। তৃতীয় যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, আমার নামে ডাকাতি মামলা রয়েছে। বাজারের ইজারা নেওয়াকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ডাকাতির মামলা করেছিল প্রতিপক্ষ, যা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবী। প্রকৃত পক্ষে আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার পরিচয় আমি ব্যবসায়ী। আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কেউ প্রমাণ দিতে পারলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যেকোন শাস্তি মাথা পেতে নিতে আমি রাজি রয়েছি।

প্রসঙ্গত আমি ০৪/০৪/২০২৪ইং তারিখ দুই কোটি তিয়াত্তর লক্ষ টাকায় ঈদগাঁও বাজারের ইজারা বুঝিয়ে নিই। পরে এক কোটি ছাব্বিশ লক্ষ টাকায় সাব ইজারা দেওয়ার ঘোষণা দিলে শাহ্ জাহান তার চেয়ে কম দিয়ে সাব ইজারা নেওয়ার জন্য তদবির করে। শত তদবিরের পরেও আমি রাজী না হলে এক পর্যায়ে ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদ পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদকে ব্যবহার করে এক প্রকার বাধ্য করে এক কোটি বার লাখ টাকায় সাব ইজারা নিয়ে নেয়। পরে শাহ্ জাহান ছাগল বাজার সাব ইজারা দেয় সাতাশ লাখ টাকায়। শাহ্ জাহান থেকে অদ্যাবধি সাড়ে ছয় লাখ টাকা পাওনা রয়েছি।

এসব টাকা দাবি করায় উল্টো আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মানহানি করার জন্য ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে এ মিথ্যা অভিযোগ ও নিউজ করেছে। শাহ্ জাহানের আমার কিভাবে চুক্তি হয়েছে, তার সব বিষয়ে যথাযথ স্বাক্ষী রয়েছে। পাশাপাশি তার বক্তব্য সহ অসংখ্য ভয়েস রেকর্ড রয়েছে। সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হচ্ছে, সে এখনও লোড আনলোড থেকে নিয়মিত ইজারা উত্তোলন করছে।

আমি ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এ মিথ্যা অভিযোগে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আমি সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা দাতা
মোঃ রমজানুল আলম
ঈদগাঁও বাজারের বৈধ ইজারা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর