নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম রাজন পালের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছ।
অভিযোগে জানা যায়, মো: এনামুল হক, পিতা:মফিজুর রহমান সাং- মিয়াজি পাড়া,জালালাবাদ, ঈদগাঁও,কক্সবাজার। বর্তমান ঠিকানা-ঢাকা।
তিনি বিগত ১ জানুয়ারি উক্ত বিদ্যুৎ কার্যালয় সংলগ্ন তার স্থাপনায় বিদ্যুৎ মিটার সরবরাহে বিধি মোতাবেক আবেদন করেন। পরে যথাসময়ে ওয়্যারিং রিপোর্ট না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে ইলেক্ট্রিশিয়ান ডিজিএমের মৌখিক নিষেধ থাকায় রিপোর্ট দিতে অপারগতা জানান। আরো বলেন, কেউ এ রিপোর্ট দিলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন ডিজিএম। যার কারণে তিনি এখনো মিটার সরবরাহের ওয়্যারিং রিপোর্ট পাননি।
পরে ভুক্তভোগী এনামুল হক ডিজিএম রাজন পালের নিকট এর কারণ জানতে চাইলে তিনি ইলেক্ট্রিশিয়ানদের এরকম নির্দেশনা দেননি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী এনামুল হকের দাবি, ইতিপূর্বে তার নামে গোপনে অন্য স্থাপনার ভাড়াটিয়া ফরিদুল আলমকে দেয়া মিটার ও তার নামে হওয়া প্রায় ২ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিলের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ডিজিএম রাজন পাল প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে তার আবেদনকৃত মিটার সরবরাহে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তাই তিনি আবারও দুর্নীতিবাজ ডিজিএম রাজন পালের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা বরাবর লিখিত অভিযোগ ও প্রধান উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করেন ।
অভিযোগ উঠা ঈদগাঁও জোনাল অফিস ডিজিএম রজন পালের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অফিসিয়ালি তদন্তে প্রমাণ হবে সত্য, না মিথ্যা।
ইলেকট্রিশিয়ান সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা হলে জানান,ডিজিএমের নির্দেশ অমান্য করে রিপোর্টে দিলে আমাদের সমস্যা আছে এটা বুঝতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার সরকারি মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ , উক্ত ডিজিএম ঈদগাঁওয়ে যোগদানের পর থেকে বিদ্যুৎ অফিস কেন্দ্রিক একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে। তাদের কাজ হচ্ছে অহেতুক নানা ইস্যু তৈরি করে গ্রাহকদের অফিসে এনে হয়রানি করে টাকা আদায় করা। যার একটা অংশ নিয়মিত এ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা -কর্মচারীরাও পকেটস্থ করে বলে তাদের দাবি। এলাকাবাসী দুর্নীতিবাজ ডিজিএম রাজন পালের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।