নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে আরেক জনের কাগজ পত্র ব্যবহার করে মিটার সংযোগ নিয়ে মোটা অংকের বিল বকেয়া রেখে প্রতারণা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছ । বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে অভিযোগ তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ জানা যায়, ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মহাসড়কের পুর্ব পাশে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনামুল হকের মালিকানাধীন ১৩ শতক জায়গা রয়েছে। তার জায়গার পার্শ্ববর্তী সীমানায় একটি টমটম গ্যারেজ রয়েছে। এই টমটমের গ্যারেজের মালিক উত্তর মাইজ পাড়া এলাকার কালুর ছেলে ফরিদ।
ফরিদ কৌশলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের সহযোগিতায় এনামুল হকের আইডি কার্ড, ছবি ও জাতীয়তা সনদ ও এনামুল হকের উক্ত জায়গার খতিয়ান ব্যবহার করে মিটার সংযোগে নেয় তার টমটম গ্যারেজে। কিন্তু মোবাইল নাম্বার রেখে দেয় টমটম গ্যারেজের মালিক ফরিদের। সে দীর্ঘদিন এ মিটার ব্যবহার করে বিল পরিশোধ না করলে এনামুল হকের নামে ১লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৬৬ টাকা বিল বকেয়াসহ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এ খবর পেয়ে এনামুল হক ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে যোগাযোগ করে ,কোন সমাধান না পেয়ে কক্সবাজার অফিসে জিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জিএম বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম কাইজার নুরকে। ভুক্তভোগী এনামুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি মিটারের জন্য আবেদন করলে আমার জায়গায় স্থাপনা নেই মর্মে আমার আবেদন ফিরিয়ে দেয় কিন্তু আমার সমস্ত কাগজ পত্র ব্যবহার করে আমরা জায়গার পার্শ্বের টমটম গ্যারেজের মালিক কে আমার নামে মিটার বসিয়ে দেয়। আমার নামে অনেক টাকা বিল ও বকেয়া রাখে। এ ঘটনায় আমি জিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ উঠা ফরিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, এনামুল হকের বন্ধু নুর হোসেন থেকে কাগজ পত্র সমগ্র করেছে বলে জানান। ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম রাজন পালের সাথে কথা হলে অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত চলছে তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তদন্ত কমিটির প্রধান উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম কাইজার নুরের সাথে কথা হলে জানান, তদন্ত চলছে, তদন্ত করে জিএমকে রিপোর্ট জমা দেয়া হবে । কক্সবাজারের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএমের সাথে কথা হলে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত চলছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলে জানা যাবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান উপদেষ্টার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply