নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইয়াবা সম্রাট যুবলীগ নেতা সাহেদ ধরাছোঁয়ার বাইরে। দীর্ঘদিন ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে ফার্মেসি কর্মী থেকে কোটিপতি বনে যায় ইয়াবা সম্রাট সাহেদ। এক সময় ইয়াবাসহ আটক করলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর খোলস পাল্টিয়ে শুরু করে পুলিশের দালালি। শুরু করে নিরীহ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি। ইয়াবা সম্রাট সাহেদ কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পালা কাটা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে সাহেদ ঈদগাঁও বাজারস্থ সদর যুবলীগের নেতার মালিকানাধীন ফার্মেসিতে চাকরি করত। সে থেকে সখ্যতা গড়ে উঠে ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে। ইয়াবা সিন্ডিকেটের হাত ধরে বেরিয়ে যায় ফার্মেসি থেকে। ঔষধ কোম্পানীর কথিত এম আরের সাইনবোর্ড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে ইয়াবা সিন্ডিকেট। টেকনাফ কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে সারা দেশে পাঠায় ইয়াবার বড় বড় চালান।
ঈদগাঁও উপজেলায় ইয়াবা ডন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সে সময় প্রচার করে বেড়ায় তার পিছনে ঘুরে যুব লীগের নেতা কর্মীরা। প্রায় দেড় বছর আগে ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ইয়াবা সহ উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় তার সহযোগী চৌকিদার নাছিরসহ তাকে গ্রেফতার করে তৎকালীন ঈদগাঁও থানার এসআই ছিদ্দিক আহমদ। মোটা অংকের টাকা ও রাজনৈতিক তদবিরে তাকে রাতের অন্ধকারে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর সে আরো ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক মাফিয়াদের সাথে তার সম্পর্ক। তার নেতৃত্বে গড়ে উঠে এলাকায় বিশাল অপরাধ চক্র । তার শিষ্যরা এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। এ সব অপরাধে নেতৃত্বে দিচ্ছে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড চৌকিদার নাছির। এলাকার লোকজন জানান,সে এলাকার পরিবেশ ও যুব সমাজ কে ধ্বংস করে দিয়েছে। সম্প্রতি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সে আগের কিছু পুলিশের সাথে তার সম্পর্ক কে কাজে লাগিয়ে নিরীহ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক নারীই মানুষ কে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় লোকজন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম, শাহজাহান, আব্দুল হামিদ সহ অনেকে জানান, সাহেদ একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী এলাকার সবাই জানে। সে বর্তমানে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় মেম্বার আবু তাহের জানান, সে চিহ্নিত অপরাধী এবং হত্যা চেষ্টা মামলা সহ বিভিন্ন মামলার আসামী।
অভিযোগ উঠা সাহেদের সাথে কথা হলে জানান, সে যুবলীগ করত এটা সত্য কিন্তু অন্যান্য অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মছিউর রহমানের সাথে কথা হলে জানান, আমাদের কোন সোর্স নেই। এ ধরনের কোনো কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।