সাতকানিয়া প্রতিনিধি: সদ্য সমাপ্ত সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৭ নম্বর সোনাকানিয়ার ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সেলিম উদ্দীন চৌধুরী। মঙ্গলবার রাতে (৮ ফেব্রুয়ারি) রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে আপত্তিপত্র দাখিল করেছেন তিনি।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনে সেলিম উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৫২৭৯ ভোট। বিজয়ী নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দীন পেয়েছেন ৫৭৭৯ ভোট। যেখানে সুক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে নৌকা প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সেলিম উদ্দিন চৌধুরীর।
সেলিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, ভোটের দিন সকাল ৮টায় আমার ইউনিয়নে ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমার এজেন্টরা ফোন করে জানায় নৌকা প্রার্থী জসিম উদ্দীন ও তার ভাই খোরশেদুল আলমসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় আমি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রঙ্গিপাড়া রওজাতুল সুন্নাহ মাদ্রাসা কেন্দ্রে গেলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার ভাই সমর্থকদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমি প্রাণ রক্ষার্থে সেখান থেকে চলে আসি।
পরবর্তীতে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য গারাংগিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখি প্রায় সব ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারা। তৎক্ষণাৎ আমি এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে নৌকার প্রার্থীর ভাই খোরশেদসহ ১০-১২ জন মুখোশধারী আমার ওপর আবারও হামলা করলে আমি ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমার সমর্থকেরা এসে উদ্ধার করে সাতকানিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কেন্দ্রে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে সীল মারা হয়েছে।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, আমরা ওই প্রার্থীর অভিযোগ পেয়েছি। যেখানে তিনি পুনরায় ভোট গণনার কথা বলেছেন যেটি আসলে সম্ভব না। এগুলো প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা গণনা করে আমাদেরকে দেন। আমরা শুধু যোগ বিয়োগ ঠিক আছে কিনা চেক করে ফলাফল ঘোষণা করি।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে সাতকানিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সোনাকানিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দীনকে।