মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টে ছিল না, ইউনিভার্সিটি, হোটেল ও পার্সোনাল বাড়িতে ছিল। নিশ্চই আমি আমার অভিজ্ঞতা লিখবো।আপনারা দোয়া করবেন যতদিন আমরা থাকি জনগনের জন্য, দেশের জন্য, কিছু করে যাওয়া। দেশ তছনছ হয়েগেছে এটা ঠিক করা অনেক কঠিন সেটা শুধু আমাদের জন্য না আগামীতে যারা আসবে তাদের জন্যও।আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ করেছে এটাকে বৃথা যেতে দেবেন না। এখনো সন্ত্রাস,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাদাবাজি চলছে। আমি অনুরোধ করবো সমাজে যারা নেতৃস্থানীয় আছেন তারা প্রতিহত করেন।এ কারনে আজ দেশে এ অবস্থা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দলোনের প্রায় দু,হাজার তরুণরা অকাতরে জীবন দিয়েছেন। আমরা সবাই তাদের এই দানকে সীকার করি।তিনি আরো বলেন সরকারী সুন্দরবন কলেজ আয়োতনে ছোট হলেও এটি অনেক বড় বড় ব্যক্তির জন্ম দিয়েছে। খুলনার উন্নয়নে এ কলেজের অবদান অনেক।তবে অনেক পুরাতন কলেজ হিসাবে এর অবকাঠামো যতটা উন্নতি হওয়া উচিত ছিল ততটা হয়নি।কলেজটি সম্প্রসারন করা প্রয়োজন জানিয়ে কলেজের উন্নয়নে ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা।দাবি গুলো হলো : কলেজের পাশে ফাকা জায়গা অধিগ্রহন করে সিমানা বাড়ানো, কলেজটিতে নতুন নকশা করে আধুনিকায়ন করা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।
এ সময় তিনি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো শিক্ষা উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।নৌপরিবহন এবং শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন আজ সকাল ১০ টায় খুলনা নগরীর সুন্দরবন আদর্শ কলেজের ৫৬ তম বর্ষপুতি ও পুর্নমিলনী – ২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবার সময় এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এক সময় খুলনা শহরে মোংলা পোর্টের অফিস ছিলো। আমদানিকারক, শিপিং এজেন্ট সহ সবার প্রয়োজনে আবার এ অফিসটি খুলনা শহরে ফিরিয়ে আনতে হবে। মোংলা পোর্ট খুলনার পোর্ট তাই এটিকে বাচিয়ে রাখা ও আরো কার্যকর করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মান না হলে বন্দরটির পুর্ন বিকাশ হবে না।এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।ট্যারিফ কমিয়ে আমদানি কারকদের এ বন্দর ব্যবহারে আরো আগ্রহী করে তুলতে হবে। সুন্দরবন কলেজের উদযাপন কমিটির আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহীরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোল্লা মারুফ রশিদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ সিনিয়র ডাইর্যাক্টিং স্টাফ( আর্মি) ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ বাংলাদেশ সেনা বাহিনী।
প্রফেসর ড. রেজাউল করিম উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, মো: ফিরোজ সরকার,খুলনা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার, মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,জেলা প্রশাসক, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য খুলনা-২ ও সাবেক শিক্ষার্থী, সাবেক অধ্যক্ষ মো: শহীদুল ইসলাম, নর খান, মানবাধিকার সদস্য,জাতীয় গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারিং ও প্রাক্তন ছাত্র। এর আগে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বর্ষপুর্তি ও পুর্নমিলনীর উদ্ধোধন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব:) এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তিনি কলেজ অধ্যক্ষ রুম সহ ভবন ঘুরে দেখেন।পরে একটি আনন্দ র্যালী কলেজ প্রাঙ্গন হতে শুরু করে নগরীর পিটিআই মোড় হয়ে পুনরায় কলেজে এসে শেষ হয়। র্যালীতে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্যথীরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়
Leave a Reply