আজ ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আন্তর্জাতিক বিশ্বতানের বসন্তের অনিন্দ্য সুন্দর গীতি ও নৃত্য


সবার মন হাসুক বাসন্তীরংয়ের বৈচিত্র্যময় স্বকীয়তায়। চির সুন্দরের বর্ণিল ঋতু বসন্ত। এই ঋতুর আগমনী ক্ষণ পহেলা ফাল্গুন। প্রতিবছর এ দিনটিকে কত আবেগ, কত অনুভব, কত আনন্দ সুখস্মৃতিতে মাতিয়ে রাখা যায় এবং একটি সুষ্ঠু সার্বজনীন অংশগ্রহণমূলক উৎসবমুখর আবহ ছড়িয়ে দেওয়া যায় প্রায় দু’দশক ধরে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম ও প্রমা আবৃত্তি সংগঠন তাতেই বদ্ধপরিকর। এই দুই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের আমন্ত্রণে পর্যায়ক্রমে ৩ টি দলীয় সংগীত ও ২ টি দলীয় নৃত্য পরিবেশন করতে গিয়েছিলো আন্তর্জাতিক বিশ্বতান টীম। এ ঋতুর আগমনী বার্তা দিগ্বিদিক জয়ের দামামা বাজিয়ে জানান দিতে বোধন ও প্রমার মতোন আন্তর্জাতিক বিশ্বতান সাংস্কৃতিক সংগঠনের ক্লাস ও ইউনিক পরিবেশনা ছিলো। দিন-মাস-বছর যতই গড়িয়েছে, ততই এ বসন্ত উৎসব নিজস্বতার পরিসর আরো ব্যাপকতা ছড়িয়ে এ ঋতু আরো বিস্ময়কর হয়ে উঠেছে। গতকাল তেমনি এক বর্ণাঢ্য রঙের পসরা সাজিয়ে ঋতুরাজকে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম বরণ করেছে বসন্তের আগমনী সংগীত, নৃত্য, কবিতা, কথা, বসন্তবরণ শোভাযাত্রা, যন্ত্রসংগীত ও ঢোলবাদনের তালের মায়ায়। সকাল থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত উৎসবমুখর ছিলো সংস্কৃতিপ্রিয় নানান মনের পদচারণায়। নগরীর পাহাড়তলীর আমবাগানে বোধন ও সি.আর.বি তে প্রমা হয়ে উঠেছে যেন উৎসবের এক জংশন। যেখান থেকে সংস্কৃতির প্রতিটি প্লাটফর্মে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বসন্তের উদ্বেলিত অনুরণ আবহ! এতে প্রাণস্পন্দন ছিলো চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনন্য পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বতানের মহাসচিব শ্রী দীপক কুমার পালিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাননীয় ট্রাস্টি,সন্মানিত অতিথি সুজিত সরকার,নির্বাহী সভানেত্রী নিবেদিতা আচার্য্য,সাধারণ সম্পাদক অপর্ণা রায় চৌধুরী,দুটো অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বতানের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নরেন সাহা,আহ্বায়ক ও গানের লিডে ছিলেন নিভু সেন(সাংগঠনিক সম্পাদক),নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন দীপা ঘোষ ( নৃত্য কলা সম্পাদক),সদস্যদের মধ্যে ছিলেন রুনা বড়ুয়া,আলেয়া বড়ুয়া,অনামিকা,প্রমি,বিথী,জনাদ্দন প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক বিশ্বতান ধন্যবাদ জানান বোধন ও প্রমা বসন্ত উৎসব ১৪৩১ পরিষদে। জয় হোক শুদ্ধ শিল্প সংস্কৃতির। জয় হোক বোধনের সাথে আপনার দৃঢ় সখ্যতার। জয় হোক অবিপনেয় এ শিল্পের নিবিড় পথচলা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর