আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর ১০ অক্টোবর পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘মেকিং মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফর অল অ্যা গ্লোবাল প্রায়োরিটি।’ অর্থাৎ ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দিন।’
শরীর এবং মন এ দুই নিয়ে হচ্ছে মানুষ। শরীরবিহীন যেমন মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, তেমনি মনবিহীন মানুষও অসম্ভব। সুস্থ-সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে গেলে সুস্থ শরীর এবং সুস্থ মন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে আজ সকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে র্যালি এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রত্যেক জেলা সিভিল সার্জন নানা কর্মসূচি পালন করবেন। বেসরকারি উদ্যোগেও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একাডেমিক চাপের প্রভাব এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা’ শীর্ষক এক জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৭ দশমিক ৯৯ শতাংশই জানিয়েছেন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগ তাদের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। এ ছাড়া ৮০ দশমিক ৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে, দৈনন্দিন আচার-আচরণ ও ব্যবহারে পরিবর্তন, যেমন মন খারাপ হওয়া, হঠাৎ ক্লান্তিবোধ ইত্যাদি বিষয় শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলছে।
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হলো পৃথিবীর সকলের মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষা, সচেতনতার দিন। এটি ১৯৯২ সালে প্রথম পালন করা হয়। কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসাবে পালন করা হয়।