চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক: বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলেও ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের নির্বাচন। ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচিত হয়ে আসছে এই সংগঠনের নেতৃত্ব। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও আগামী ১৩ এপ্রিল এসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক (২০২৫-২০২৭) নির্বাচন চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লু বে ভিউ’র মেজবান হলে অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল অনুযায়ী, নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনে দুই ক্যাটাগরিতে ২৪ জন পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে আটটি পদে ১৭ জন এবং জেনারেল ক্যাটাগরিতে ১৬ পরিচালক পদে ২৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এবার ভোটার হয়েছেন ২২৬ জন।
এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, বরাবরের মতো নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম চলছে। নির্বাচন বোর্ড তাদের কাজ করে যাচ্ছে। মাঝখানে অবশ্য একটি মহল থেকে নির্বাচন পেছানো ও একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এসেছিল। তবে সংগঠনের মিটিংয়ে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে কেউ মতামত দেয়নি। এটি করার সুযোগও নেই।
প্রভাব খাটিয়ে পছন্দের কমিটি করার যে গুঞ্জন উঠেছে এর কারণ কী হতে পারে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আরিফ বলেন, নেতৃত্বের বদলে পছন্দের কমিটি করার দুটি কারণ থাকতে পারে। এক, শিপিং এজেন্টদের ভেন্ডর নিয়োগের কাজ সংগঠন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যটি হলো- নেতৃত্বের মাধ্যমে চলমান নানা ইস্যু পুঁজি করে কাজ বাগিয়ে নেয়ার মতো সুবিধা ভোগ করা।
শিপিং খাতে দীর্ঘসময় ধরে জড়িত এমন একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, দেশি-বিদেশি জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন স্থানীয় এজেন্টরা। এই সংগঠনে কোন অযাচিত হস্তক্ষেপ হলে তা আন্তর্জাতিকভাবে দেশের শিপিং ব্যবসার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টরে প্রভাব খাটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা প্রকারান্তরে এই ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Leave a Reply