নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা প্রেশাসনের আয়োজনে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত অভ্যূত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণ সভায় ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলাকারী আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের উপস্থিতির সচিত্র সংবাদ স্থানীয়, জাতীয় ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বমহলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।যদিও বা সরকারি নির্দেশনায় আয়োজিত এ স্মরণ সভায় কোন গণমাধ্যম কর্মীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিদায়ী ইউএনও সুবল চাকমার ন্যায় নবাগত ইউএনও বিমল চাকমাও কি পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর কিনা প্রশ্ন তুলে অনেকে নানা তীর্যক মন্তব্য করেন। যেহেতু বিদায়ী ইউএনও সুবল চাকমা উপজেলাকে আওয়ামী কার্যালয়ে পরিণত করে উপজেলার সরকারি -বেসরকারি কোন কমিটি ও সমিতিতে আওয়ামী দোসরদের ছাড়া কাউকে স্থান দেননি। এছাড়া সরকারি নানা বরাদ্দ গোপনে এসব আওয়ামী দোসরদের সাথে আতাত করে নয়-ছয় করেছেন।যার সুফল উপজেলাবাসী ঘুষ ছাড়া ভোগ করতে পারেননি । উপজেলা প্রশাসনের সভা -সেমিনারে সাংবাদিক সংগঠন বা প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণের সুযোগ থাকলেও আকাম কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার আতংকে কাউকে আমন্ত্রণ করতেননা ।
সর্বশেষ বিদায়ী ইউএনও সুবল চাকমা ৪ আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে ঈদগাঁও বাসস্টেশনে ছাত্র জনতার উপর সশস্ত্র হামলায় নেতৃত্ব দেন। যার স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। এতে তার সরকারি গাড়িটি পোড়ে গেলও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রক্ষায় তিনি মামলা করেননি।
তার এ তোষণ নীতি ভিন্ন মোড়কে অব্যাহত রাখতে সরকার পতনের পূর্ব পর্যন্ত যাদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পথে ঘাটেও দেখা যায়নি রাতারাতি এমন একাধিক কথিত ছাত্র প্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধিকে কাছে টানেন। ইউএনও’র কাছে যেতে পেরে তারাও নিজেকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ভাবতে থাকে। তাদের ব্যবহার করে পূর্বের মত ইউএনও সুবল চাকমা অন্তবর্তী সরকারের সময়েও বিদায়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আওয়ামী তোষণ অব্যাহত রাখেন। যার কারণে বিদায়ী এ ইউএনও’র সময়ে উপজেলাবাসীর কোন উন্নয়ন কিংবা জনগণ স্মরণ রাখতে পারে এমন কিছু করেননি ।
বরং নানা ঘটনাকে পূজি করে এ ইউএনও বদলীর আগ মুহূর্তেও একাধিক বিতর্কিত ঘটনায় নিজের পকেট ভারি করে নির্বিঘ্নে কর্মস্থল ত্যাগ করেন । তার বদলি পরবর্তী নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা যোগদান করলে উপজেলাবাসী আশায় বুক বাঁধে তার কাছ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার চেতনার সাথে সমন্বয় থাকবে এমন কিছু পাবেন। কিন্তু তিনি যোগদান করেই বিগত ইউএনও’র চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে গোপনে সম্পাদন করে যাওয়া কিছু বিতর্কিত কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাকে হাত দিতে হয়। যা নিয়ে আলোচনা সমালোচনাও শুরু হয়।
নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা যোগদানের পর প্রথম উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিগত ২৮ নভেম্বর জুলাই -আগস্ট অভ্যূত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে আয়োজিত সভায় চিহ্নিত আওয়ামী দোসর কথিত ডা:শমশুল হুদাসহ পতিত সরকারের দোসরদের স্মরণ সভার সামনের সারিতে দেখা গেলেও উপজেলার কোন গণমাধ্যম কর্মীকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানের স্থির চিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন জনগণ ক্ষোভের সাথে জানান, বিগত পতিত আওয়ামী সরকারের সময়েও যেমন বিদায়ী ইউএনও’র সাথে চিহ্নিত কিছু দোসর গণমাধ্যম কর্মীদের দূরত্ব সৃষ্টি করেছিল। আওয়ামী সরকার পতন পরবর্তীও আওয়ামী দোসরদের রক্ষায় সৃষ্ট কিছু নব্য দোসরও একই কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যম কর্মীদের ধারণা নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা যোগদানের পরও একই কায়দায় নব্য দোসর ও উপজেলা প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী চক্রটি তাদের পূর্বের মিশন বাস্তবায়নে নবাগত ইউএনও’র আগোচরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের প্রশ্ন নবাগত ইউএনও কি জেনে বুঝেই পূর্বের ইউএনও’র পথে হাটছেন! না চক্রটি তাকে বিতর্কিত করতে এমন করেছেন। গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন উপজেলাবাসীর প্রত্যাশা তিনি নবগঠিত এ উপজেলাকে এগিয়ে নিতে সকল শ্রেণির অংশগ্রহণ আগামীতে নিশ্চিত করবেন।
Leave a Reply